ঘন চিনির সঙ্গে কাপড়ে ব্যবহৃত রং এবং সাইট্রিকেএসিড মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘টিনস সফট ড্রিংকস পাউডার’। কোমল পানীয়তে এ ধরণের বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের অপরাধে প্রস্তুতকারক ‘লাইফ ফুড প্রডাক্টস অ্যান্ড কনজুমার প্রডাক্টস’কে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাব-১০ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।মঙ্গলবার দুপুর ১টায় যাত্রাবাড়ি এলাকার ‘লাইফ ফুড প্রডাক্টস অ্যান্ড কনজুমার প্রডাক্টস’ কারখানায় অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযান শেষ হয় বেলা ৪টায়। অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম।তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে কোন রসায়নবিদ, পুষ্টিবিদ ছাড়াই সাধারণ কর্মচারীদের দিয়ে ঘন চিনির সঙ্গে কাপড় তৈরির রং, স্যাকারিন এবং সাইট্রিক এসিডের সংমিশ্রণে টিনস নামের সফট ড্রিংকস পাউডার তৈরি করছে। কারখানাটির গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ ঘন চিনি জব্দ করা হয়। আমদানি নিষিদ্ধ এ সমস্ত চিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশে এনে এসব কারখানায় ব্যবহার করা হচ্ছে, যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।এছাড়া ‘লাইফ ফুড প্রডাক্টস অ্যান্ড কনজুমার প্রডাক্টস’ কারখানায় একই স্থানে কোমল পানীয় পাউডার ও রিম ডিটারজেন্ট নামক পাউডার তৈরি করছে বলেও জানান র্যাবের এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।অন্যদিকে, নারিন্দা এলাকার পুলিশ ফাঁড়ির পাশে ‘ইয়ামিন ফুড প্রডাক্টস’ নামের অনুমোদনহীন আরেকটি কারখানায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় সেখানে অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কর্মচারীদের কোলাকোলা নামক নুডলস তৈরি করতে দেখা গেছে। পরে কারখানার মালিক মো. হাফিজুর রহমানকে (২৮) এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলেও জানান তিনি।এছাড়াও একই এলাকার ‘তানয়ীম সুইটস’ এ মবিল দিয়ে জিলাপি ভাজা এবং অপরিষ্কার অবস্থায় মিষ্টি ও কেক তৈরির দায়ে মো. আনোয়ার হোসেনকে (৩৫) দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেখ জিল্লুর রহমান এবং বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম। জেইউ/এএইচ/আরআইপি
Advertisement