দ্বিপক্ষীয় কোনো চুক্তি নয়; বরং বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল (বিবিআইএন) ফোরামের আওতায় বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহারে ট্রানজিট সুবিধা চায় নেপাল। এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে দেশটির মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছে। মঙ্গলবার প্রতিনিধি দলটি নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আশোক মাধব রায়ের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। এ বিষয়ে অশোক মাধব রয় সাংবাদিকদের বলেন, নৌ, সড়ক ও রেলপথ তিনটির মধ্যে কোনটি বেশি সুবিধাজনক তা ক্ষতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদান করতে বলা হয়েছে। চুক্তিটি হলে উভয় দেশ আথিকভাবে উপকৃত হবে। এর আগে গত মে মাসে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স হলে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের এটি ছিল তৃতীয় বৈঠক। এর আগে ২০১০ সালে প্রথম ও ২০১২ সালে দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মে’র বৈঠকে বাংলাদেশের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। অন্যদিকে নেপালের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির বাণিজ্য সচিব নায়ন্দ্র প্রসাদ উপাধ্যায়। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, স্থলপথে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সরাসরি পণ্য পরিবহনের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বিবিআইএন ফোরামের মাধ্যমে এসব কৌশল কার্যকরের বিষয়ে দুদেশই সম্মতি জানিয়েছে। বিবিআইএন চুক্তির পর বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারত চুক্তিটিকে র্যাটিফাই করলেও এখন পর্যন্ত ভুটান তা করেনি। ফলে চুক্তিটির আওতায় এক দেশের পরিবহন চার দেশের মধ্যে চলাচল করতে পারছে না। সব দেশ চুক্তিটি র্যাটিফাই করার পরই তা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, এরই মধ্যে নেপালের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে পরিবহন চলাচল বিষয়ে প্রটোকল চুক্তির খসড়া শেষ হয়েছে। আর পরিবহন চলাচল, বন্দর ব্যবহারসহ ট্রানজিট সুবিধার আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে বিবিআইএন ফোরামের চুক্তি অনুযায়ী।এমকিউএইচ/একে/এবিএস
Advertisement