স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাক নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এই আইনে তামাক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়নি। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ কে এম শাহজাহান কামালের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি। বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ প্রণয়ন করে।মন্ত্রী বলেন, ২০০৫ সালে প্রণীত আইনকে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) সঙ্গে অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ করার উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে সংশোধন করা হয় এবং ২০১৫ সালে এর বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণে আইনে তামাককে নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এই আইনে তামাক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়নি। মন্ত্রী বলেন, ধোঁয়াযুক্ত ও ধোঁয়াবিহীন তামাকসহ সকল ধরনের তামাকই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তামাক ব্যবহারের প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে প্রধান আটটি রোগ হয়। এই রোগগুলো হল- হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার, স্ট্রোক, মুখের ক্যানসার, শ্বাসনালী/ খাদ্যনালীর ক্যান্সার, ফুসফুসের বাধাজনিত রোগ, ফুসফুসের যক্ষা, বার্জারস ডিজিজ।বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৪ সালের এক গবেষণা অনুযায়ী, এই প্রধান আটটি রোগের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩০ বৎসরের বেশি বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫৭ হাজার জন মৃত্যুবরণ করেন এবং ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেন।এইচএস/এনএফ/পিআর
Advertisement