সম্প্রতি এক কলম্বিয়ান নাগরিকের ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বিমানের টিকিট ক্রয়ের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে প্রশ্নও ওঠে। তবে ক্রেডিট কার্ডের মালিক কলম্বিয়ার নাগরিক রডরিগো আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করলেও গত ৫ দিনেও কোনো সাড়া দেয়নি রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। বিষয়টি সম্পর্কে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছে না বেসরকারি এই বিমান সংস্থা। জালিয়াতির শিকার রডরিগো জাগো নিউজের কাছে এমন অভিযোগ করেন।রডরিগো জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত ৮ জুন আমার ব্যানকলাম্বিয়ার একটি ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করে প্রায় দুই হাজার ৪০০ মার্কিন ডলারের (এক লাখ ৮৮ হাজার টাকা) সমপরিমাণ রিজেন্ট এয়ারওয়েজের টিকিট কেনা হয়। ব্যাংক থেকে টিকিট কেনার বিষয়ে জানানো হলেও এর চেয়ে বেশি কিছু জানায়নি। রিজেন্ট চাইলে তারা টিকিট ক্রেতাদের বিষয়ে জানাতে পারবে, যদিও তারা এখনো কিছু জানায়নি। আমি আশা করছি রিজেন্ট সাড়া দেবে।’এর আগে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির বিষয়টি রডরিগো জানালে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ ইনফোডটফ্লাইরিজেন্টডটকমে ই-মেইল দিতে বলে। তবে, ই-মেইলে কারা এবং কাদের পাসপোর্টের বিপরীতে টিকিটগুলো কেনা হয়েছে জানতে চাইলে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বিষয়টি জানাতে কোনো আগ্রহ দেখায়নি।সাধারণত রিজেন্টে একটি টিকিট ক্রয় করতে হলে পাসপোর্ট অনুযায়ী নামের প্রথম ও শেষ অংশ, কান্ট্রি কোড, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল অ্যাড্রেস ও পাসপোর্ট নম্বর দিতে হয়। ক্রেডিট কার্ডে ৪ দফায় রিজেন্টের টিকিট ক্রয়গত ৮ জুন রডরিগোর কার্ড জালিয়াতি করে রিজেন্টে ৩টি লেনদেনের মাধ্যমে ৪টি টিকিট কেনা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় লেনদেনে ৯০০ ডলার ও ৭০০ ডলারের দুটি টিকিট কেনা হয়। তৃতীয় লেনদেনে ৪০০ ডলারের দুটি টিকিট কেনা হয়। বিশ্বে এ ধরনের প্রতারণা আগে অনেক ঘটেছে। অনেক হ্যাকার ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করে বিমানের টিকিট কিনেছে। পরবর্তীতে সেগুলো ফেরত দিয়ে রিফান্ডের টাকা নগদে গ্রহণ করার ঘটনাও রয়েছে। একটি অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, রিজেন্ট এয়ার নিজেদের টিকিট বিক্রি বাড়াতে কোনো প্রকার যাচাই বাছাই করে না, যেটা একটা ভালো প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই জরুরি। এছাড়া যদি কোনো ‘আন অথোরাইজড’ ক্রেডিট কার্ড হোল্ডার টিকিট ক্রয় করে তাহলে প্রাথমিকভাবে তাকে ধরার মতো প্রযুক্তিও রিজেন্ট এয়ারের কাছে নেই। এ বিষয়ে গত ১২ জুন রিজেন্টের চিফ অপারেটিং অফিসার আশিষ রায় চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, যদিও এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি এয়ারলাইন্স জড়িত নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক একজন গ্রাহককে কিভাবে টাকা ছাড় দেবেন এটার পলিসি তারাই বানাবেন। এ বিষয়ে নিযুক্ত এজেন্সিরও দায়-দায়িত্ব রয়েছে। তবে নেপথ্যের কারণ উদঘাটনে একটু সময় লাগবে। তবে কেন গত কয়েকদিনে জালিয়াতির বিষয়ে কলম্বিয়ান নাগরিকের অভিযোগে সাড়া দেয়া হয়নি? এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সোমবার আশিষ রায় চৌধুরীর মোবাইলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে অফিসের যোগাযোগ করে জানা যায় বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন।এআর/আরএস/বিএ/পিআর
Advertisement