বেসরকারি খাত উন্নয়নে সহজ শর্তে ১ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। রোববার সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম ও বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী এস পারালকার।চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলমান বেসরকারি খাতের উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্প বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পে অর্থায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ইতোপূর্বে যথাক্রমে ২০১১ সালে ১২ কোটি মার্কিন ডলার ও ২০১১ সালে ১ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গুচ্ছ প্রকল্পটি জুলাই ২০১১ থেকে জুন ২০১৬ সালে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। নতুন করে চলমান এই প্রকল্পের অতিরিক্ত অর্থায়ন হিসাকে ১৩ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করলো সরকার। জানা গেছে, লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইকোনমিক জোনসমূহ এবং নতুন ইকোনমিক জোনসমূহের সার্বিক উন্নয়নে সহায়তা বৃদ্ধিসহ এগুলো উন্নয়ন সুফলদায়ক করার জন্য অতিরিক্ত অর্থায়নে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো বেসরকারি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করা।এছাড়া ইকোনমিক জোনসমূহে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, বিল্ডিং কোড, সামাজিক ও পরিবেশগত মান বৃদ্ধির মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করা। নির্দিষ্টভাবে এর আওতায় নতুন ইকোনমিক জোনসমূহ উৎপাদনমুখী করা এবং বেসরকারি ইকোনমিক জোন তৈরির লক্ষ্যে সক্ষমতার উন্নয়ন, জোন-সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো নির্মাণ এবং চাহিদা তাড়িত দক্ষতা বৃদ্ধি ও জোনসমূহে সামাজিক ও পরিবেশগত স্ট্যান্ডার্ড নিশ্চিত করা। এছাড়া অতিরিক্ত অর্থায়নে গুচ্ছ প্রকল্পটি জুলাই ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। এদিকে, অতিরিক্ত অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ১৩০ মার্কিন ডলার প্রদান করবে এবং অবশিষ্ট ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ সরকার কাউন্টারপার্ট ফান্ড হিসেবে প্রদান করবে।বিশ্বব্যাংকের অতিরিক্ত অর্থায়নের বরাদ্দ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা)-১০৭ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি (বেপজা) ৩ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, হাইটেক পার্ক-১৭ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ইআরডি ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অবশিষ্ট শূন্য দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সার্বিক পুনর্বাসন কার্যক্রমে ব্যয় হবে। এমএ/আরএস/আরআইপি
Advertisement