বিনোদন

বাবা দিবসে পপগুরু আজম খানের বাবার ছবি

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো এখন যে কোনো দিবস উদযাপনের অন্যতম মাধ্যম। এখানে সবাই নিজের মনের না বলা কথাগুলো অকপটে বলেন। তেমনি বাবা দিবসেও দেখা যাচ্ছে অনেকেই নিজেদের বাবার সঙ্গে ছবি আপলোড করছেন, স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। এই ফেসবুকেই পাওয়া গেল বাংলাদেশের পপগুরু খ্যাত প্রয়াত সংগীত তারকা আজম খানের বাবার একটি ছবি। গেল ৫ জুন ছিল রকসম্রাট আযম খানের মৃত্যুবার্ষিকী। সেদিন তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এই ছবিটি নিজের পেজে আপলোড করেছিলেন বাংলা গানের আরেক কিংবদন্তি কবীর সুমন। তবে আজ বাবা দিবসে ছবিটি নতুন করে নজর কেড়েছে সবার। সেদিনের স্ট্যাটাসে কবীর সুমন লিখেছিলেন, ‘এই ছবিটি আজম খানের বাবার। একবার ঢাকায় তার বাড়ি গিয়েছিলাম। সেই সময়ে তার ও তার বাসার দেয়ালে ঝোলানো কিছু ছবির ছবি তুলেছিলাম আমি একটি ডিজিক্যামে। বাংলার রক্গুরুর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলাম। সাবিনা (সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন) একটি হ্যাণ্ডিক্যামে ছবিটা ধরে রাখছিলেন, আর গোটা ঘটনাটি প্রফেশানাল ভিডিও ক্যামেরায় ধরে রাখছিলেন বন্ধুবর জনাব আসাদুজ্জামান নূরের সহকর্মীরা।ছোট ঘর। আমার প্রিয় মানুষ ও জাতশিল্পী আজম খান তখন ক্যান্সারের রোগী। এর কিছুদিন পরই তিনি চলে যান আমাদের সকলকে ছেড়ে। সাক্ষাৎকারের পর রক্গুরু আমায় এই ছবিটি দেখালেন। দেয়ালে ঝুলছে। বললেন, ‘এই দ্যাখেন, আমার বাবা মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন খান। দ্যাখেন, উনি কিন্তু ধুতি পরতেন। অধ্যাপক ছিলেন।’কবীর সুমন আবেগমাখা শব্দে লিখেছেন, ‘রক্গুরু আজম খানের চোখ দুটি ছিল বড়বড়; আর, একটু যেন সজল। বাবার ছবির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময়ে তার চোখে জল এসে পড়েছিল। তিনি তা লুকোনোর চেষ্টাও করলেন না।’সুমন সবশেষে আজম খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখেন, ‘দ্য কিং ইজ ডেড! বাংলার রক সম্রাট চিরদিন বেঁচে থাকবেন। অমর হয়ে থাকুন সেই বাবা-মা যারা এই পৃথিবীকে আজম খানের মতো সন্তান দান করেছে।’প্রসঙ্গত, পপসম্রাট আজম খান দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করে ২০১১ সালের ৫ জুন রবিবার সকাল ১০টা বেজে ২০ মিনিটে ঢাকাস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬১ বছর। আজম খানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছিলো বাংলা গানের ভুবনে। গভীর শোক জানিয়েছিলেন দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসায় শেষ বিদায় দিতে ও শেষ দেখা দেখতে নেমেছিলো মানুষের ঢল।এলএ/আরআইপি

Advertisement