নৌপরিবহন ব্যবস্থা সচল করতে ২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ফলে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ করিডোর এবং আন্তঃদেশীয় সংযোগ রুটের সঙ্গে যুক্ত ৯০০ কি.মি. জলপথের নাব্য নিশ্চিত করা হবে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের (বিবিআইএন) আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন কর্মসূচির আলোকে এ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের আঞ্চলিক নৌপরিবহন প্রকল্প-১’ শীর্ষক প্রকল্পে ৩৬ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ২ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। ওয়াশিংটনে প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় এ ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।এ প্রকল্পের আওতায় জলপথের নাব্য নিশ্চিতের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ নৌপথে কার্গো এবং যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা আরো দ্রুত ও উন্নত হবে বলে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, উচ্চ পরিবহন ব্যয়, দক্ষতার অভাব এবং পরিবহনে সময়ক্ষেপণ বাংলাদেশের প্রতিযোগী সক্ষমতা হ্রাস করছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পরিবহন ব্যবস্থা আরে সহজ হবে। বিশেষ করে দরিদ্রদের অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ আরো বাড়বে। শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ হারে ৬ বছর রেয়াতসহ ৩৮ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের সড়ক, রেল ও নৌপথের উন্নয়নের মাধ্যমে ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে পারে। নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় বাংলাদেশে রয়েছে বিশাল নৌপরিবহন ব্যবস্থাপনা। এ খাত শক্তিশালী করার মাধ্যমে রফতানিমুখী অর্থনীতি আরো সম্প্রসারিত করা সম্ভব।এতে আরো বলা হয়, প্রকল্পের আওতায় পানগাঁও নৌবন্দরে একটি সাধারণ কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে আশুগঞ্জের নৌবন্দরের উন্নয়ন ছাড়াও সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর এবং বরিশালে নতুন যাত্রীবাহী টার্মিনাল স্থাপন করা হবে। নৌপরিবহনে নিরাপত্তা জোরদারসহ টার্মিনালগুলোয় শিশু, নারী, বৃদ্ধদের জন্য ওয়েটিং রুম ও পৃথক টয়লেট ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। প্রত্যন্ত চর অঞ্চলে ১৪টি ঘাট নির্মাণ করা হবে।এমএ/এএইচ/এবিএস
Advertisement