খেলাধুলা

তামিম ইস্যু কি চাপা পড়ে যাবে

ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন ও কৌতুহলি প্রশ্ন, তামিম ইস্যু কি ধামা চাপা পরে গেল? যত যৌক্তিক আর জোড়ালো দাবিই থাকুক না কেন, একটি স্টাম্পিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে খেলা বন্ধ রেখে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হওয়া, দৃষ্টিকটু ভাবে হাত পা ছুড়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখানোর পরও কি তার কিছুই হবে না ?  যত সময় গড়াচ্ছে ততই এ প্রশ্ন আরও জোরালো হচ্ছে। সঙ্গে তিনটি আনুসাঙ্গিক প্রশ্নও যোগ হয়েছে। প্রথম প্রশ্ন, `১২ জুন বিকেএসপি মাঠে প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গে ম্যাচে তামিম যে আচরণ করেছেন, সেটা যদি কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচে কেউ করতেন, তিনি কি এখনো বহাল তবিয়তে থাকতে পারতেন? ম্যাচ সাসপেন্ড কিংবা অর্থ জরিমানা না গুণে তার পক্ষে পরের ম্যাচ খেলা সম্ভব হতো?` দ্বিতীয় প্রশ্ন, ‘এটা যদি তামিম না করে কোন জুনিয়র ক্রিকেটার করতেন, ধরা যাক ভিক্টোরিয়ার উঠতি ব্যাটসম্যান আল আমিন কিংবা প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক শুভগত হোম যদি ওরকম দৃষ্টকটু আচরণ করতেন, তার কি কোন শাস্তি হতো না? ’তৃতীয় প্রশ্ন ‘আবাহনী ছাড়া অন্য কোন দলের অধিনায়ক অমন আচরণ করলে কি হতো ? ’ক্রিকেটের ন্যুনতম খোঁজ খবর রাখেন এমন যে কেউ বলবেন অবশ্যই শাস্তি হতো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হলে অন্তত এক বা দুই ম্যাচ সাসপেন্সনের খরায় ঝুলতে হতো তামিমকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো তামিম ইকবালের কিছুই হয়নি। আবাহনী অধিনায়ক বহাল তবিয়তে পরের ম্যাচও খেললেন। তামিমের বিরুদ্ধে কোন রকম ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন না হওয়ায় বাকি দুটি প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে। এটা আবাহনী অধিনায়ক এবং তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল বলেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ থেকে নিস্তার ? এদিকে তামিম শাস্তি না পাওয়ায় আরও একটি প্রশ্ন দানা বেঁধে উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান কি এখন আবাহনীর দোসর হয়ে গেল ? আগের ম্যাচে আম্পায়ারের সাথে তর্ক করা এবং বাজে আচরণের পর তামিম মোহামেডানের সাথে পরের ম্যাচ খেললেন, তা নিয়ে সাদা কালো শিবির থেকে একটি প্রশ্নও উঠলোনা। এটাও বিস্ময় জেগেছে। অনেকেরই মত, এমন ঘটনা আজ থেকে বছর দশেক আগে হলে কোন ভাবেই ১৫ জুন মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ হতো না। মোহামেডন শিবির থেকে দাবি উঠতো, আগে তামিম ইকবালের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিতে হবে, তারপর খেলা। কিন্তু মোহামেডানের পক্ষ থেকে এর কিছুই করা হয়নি।এআরবি/এমআর/এমএস

Advertisement