মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীর উপর হামলাকারীদের উদ্যেশ্য ছিল মাদারীপুরের টার্গেট কিলিং শেষ করে অন্য জেলায় একই ধরনের মিশন সার্থক করা। কিন্তু ফাহিম আটক হওয়ায় তাদের পরবর্তী টার্গেট বাতিল হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে আটক ফাহিম।শুক্রবার পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। পুলিশের এ সূত্রটি জানায়, মাদারীপুর সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তির উপর হামলার ঘটনায় দুইটি গ্রুপ অংশগ্রহণ করে। এতে সরাসরি অংশ নেয় গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিম, তাকসিন সালমান ওরফে সালিম (২০) এবং শাহরিয়ার হোসেন পলাশ (২০)। বাকিরা ব্যাকআপ টিম হিসেবে কাজ করছিল। এদিকে, শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে। এতে গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত রাখা হয়েছে একাধিককে। ফাহিম ছাড়াও মামলায় তাকসিন সালমান ওরফে সালিম (২০), শাহরিয়ার হোসেন পলাশ (২০), মেজবাহ (১৯), রায়হান (২০) ও জাহিন (২০) এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন সদর থানার এস.আই আউব আলী। সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শদ জানান, হামলায় আটক ফাহিমকে নিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিন কয়েক দফা অভিযান চালানো হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।এছাড়া শুক্রবার ফাহিমকে ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মাদারীপুর আদালতে হাজির করে করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।নাসিরুল হক/এফএ/এমএস
Advertisement