খেলাধুলা

মাশরাফি-মোস্তাফিজের অন্যরকম একদিন

তাদের জন্মই হয়েছিল বোধহয় মানুষের গ্লানি পেতে। সমাজের একটি অংশ হয়েও আজও মানুষের অনাগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে তাদের অবস্থান। ‘ডিফারেন্টলি অ্যাবল’ শিশু-কিশোররা শুধু মানুষের একটুখানি ভালোবাসা পেলেই খুশি। আমরা কি সেটি মোটেও দিতে পারছি? আমরা দিতে না পারলেও মাশরাফি এবং মোস্তাফিজ ঠিকই তাদের মুখে কিছু সময়ের জন্য এনে দিলেন শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ হাসি। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পৃষ্ঠপোষক রবির কল্যাণে এমন শিশু-কিশোরদের সঙ্গে অন্যরকম একদিন কাটান মাশরাফি এবং মোস্তাফিজ। পি.এফ.ডি.এ ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের ‘ডিফারেন্টলি অ্যাবল’ শিশু-কিশোরদের সঙ্গে এক বিল্ডিংয়ের ছাদে ক্রিকেটও খেলেন এই ক্রিকেটাররা। সেখানে মাঠ ছিল, স্ট্যাম্প ছিল, ব্যাট ছিল, বলও ছিল। যেই মোস্তাফিজের বল খেলতে বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের হিমসিম খেতে হয় তাকেই কিনা অনায়াসে খেলে যাচ্ছিলেন এই শিশু-কিশোররা। মাশরাফির বল তো উড়িয়ে ছাদের বাইরেই ফেলে দিলেন কয়েকজন। এ সময় মাশরাফি বলেন, ‘আমরা বেশিরভাগ সময়েই এই শিশুদের যথাযোগ্য সম্মান দিতে পারি না অথচ এটি তাদের প্রাপ্য। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে তারাও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের একটি অংশ এবং যথাযোগ্য চিকিৎসা পেলে তারাও একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পেয়ে যাবে আমাদের মাধ্যমে।’‘শুধুমাত্র সহানুভূতি এবং সহমর্মিতার ভেতরেই আটকে থাকলে চলবে না। এই শিশুদের নিয়ে আমাদের যে ভ্রান্ত ধারণা আছে সেটিও পাল্টাতে হবে। আমি সকলকে অনুরোধ করবো সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই শিশুদের পাশে দাঁড়াই। আমি এবং মোস্তাফিজ নয় অন্যান্য ক্রিকেটাররা তাদের নিজস্ব জায়গা থেকে এই শিশুদের সুস্থ করে তুলতে সহায়তা করবে। আপনাদেরও আহবান জানাচ্ছি প্রাপ্যটা ওদের দিতে।’আরআর/পিআর

Advertisement