জাতীয়

দেশের চাহিদা মিটিয়ে ফল রফতানি সম্ভব : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশে এখন প্রায় ৮০ প্রজাতির ফল উৎপাদিত হচ্ছে। দেশি ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে বিদেশে। তাই দেশের অভ্যন্তরিণ চাহিদা মিটিয়ে এখন ফল রফতানি করা সম্ভব।  বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ-২০১৬ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে ‘অর্থ পুষ্টি স্বাস্থ্য চান দেশি ফল বেশি খান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মোতাবেক রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। প্রচলিত পণ্যের পাশাপাশি অপ্রচলিত পণ্য রফতানি বৃদ্ধি করতে সরকার উৎসাহ দিচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার কৃষি পণ্য রফতানিতে শতকরা ২০ ভাগ নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। অপ্রচলিত পণ্য হিসেবে দেশে ফল রফতানি লাভজনক হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন।  এখন চাউল রফতানি করা হচ্ছে।  একসময় দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল। আজ ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব নেই। এখন ৩০ থেকে ৪০ লাখ মেট্রিক টন চাউল রফতানি করতে পারবে বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ফলেও দেশ স্বয়ংসম্পন্ন হতে যাচ্ছে। আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি ফল উৎপাদিত হচ্ছে। ফল রফতানি করে বিপুল বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করা সম্ভব। কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অপর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, জাতীয় সংসদে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন, সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আযাদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মাহববুর রহমান। এমএ/এএইচ/পিআর

Advertisement