দেশজুড়ে

প্রেমের ফাঁদে পড়ে কিশোরী এখন ভারতীয় পতিতালয়ে

প্রেমই সর্বনাশ ডেকে আনলো বাংলাদেশি কিশোরী কল্পনার জীবনে। প্রতারিত হয়ে এখন ঠাঁই হয়েছে ভারতের পতিতালয়ে। পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁও জেলার গাঁইগাও থানার ঠাকুর নগর গ্রামের নারী পাচারকারী চক্রের হাতে বিক্রি করে দেয় প্রেমিক সাদ্দাম হোসেন। ৩ মাসের বিবাহিত জীবনের ইতি টেনে প্রেমের টানে চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ভাওয়ালকুড়ি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের (৩০) হাত ধরে ৯ জুন পালিয়ে যায় কিশোরী বধূ কল্পনা খাতুন। এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন কল্পনার বাবা আব্দুর রহিম।স্থানীয়ভাবে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের আব্দুর রহিম (কলম) মিয়ার মেয়ে কল্পনা খাতুন ভূরুঙ্গামারী কিশলয় বিদ্যা নিকেতনের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। ৩ মাস আগে একই উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের তালুক মশালডাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবু (২৫) এর সঙ্গে বিয়ে হয়। বাবা আব্দুর রহিম জানায়, কল্পনা গত ৮ জুন বুধবার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার প্রতিবেশী জুলেখা খাতুন ও কহিনুর বেগম কল্পনাকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক কহিনুরের দূর সম্পকের ভাই চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ভাওয়ালকুড়ি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০) হাতে তুলে দেয়। এরপর সাদ্দাম কল্পনাকে নিয়ে উধাও হয়। এ ব্যাপারে কহিনুর ও জুলেখাকে চাপ দিলে কল্পনাকে ফেরৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তারা। এর কয়েক দিন পর বিশ্বজিৎ নামে ভারতের নারী পাচারকারী দলের সদস্য সাদ্দামের বড় ভাই মজনু মিয়াকে জানায়, কল্পনাকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁও জেলার গাঁইগাও থানার ঠাকুরনগর গ্রামে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। এ খবর জানার পর বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ভূরঙ্গামারী থানায় মামলা করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন ভারতের দিল্লীতে দীর্ঘদিন থেকে শ্রমিকের কাজ করে আসলেও তিনি মূলত সংঘবদ্ধ নারী পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রেম ঘটিত বিষয়। এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। সীমান্তে কাঁটাতার না থাকায় পুলিশের ভয়ে ওপারে গিয়ে আত্মগোপন করে থাকে। পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে সমাধান হলে তারা চলে আসে। কল্পনার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।নাজমুল হোসেন/এসএস/পিআর

Advertisement