‘বৌ-শাশুড়ি’ শব্দদুটি একসঙ্গে শুনলেই মনে যে সমর্থক শব্দটি ভেসে ওঠে, সেটি হলো, ‘প্রতিপক্ষ’। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এরকমটা মনে করাই স্বাভাবিক। কারণ, বৌ-শাশুড়ির মধ্যে সুসম্পর্ক খুব একটা দেখা যায় না। শাশুড়ির মধ্যে একজন মা এবং বৌয়ের মধ্যে যে একজন মেয়ে বাস করে, সেই মা-মেয়ের সম্পর্কটা চাইলেই বাচিয়েঁ রাখা সম্ভব। এজন্য দরকার দুজনেরই সমান প্রচেষ্টা-শাশুড়ি যা করবেন১. শাশুড়ির দায়িত্ব অনেক বেশি। বৌমা আপনার থেকে বয়সে অনেক কম। বৌমা অভিজ্ঞতা আপনার কাছে কিছু না। সংসার সম্পর্কে সব কিছু শিখেই আপনার বৌমা আপনার গড়া সংসারের হাল ধরবেন।২. মনে রাখবেন তিল তিল করে গুছিয়ে তোলা সুন্দর সংসার আপনার বৌমার হাতেই আরো নান্দনিক হয়ে উঠতে পারে। সংসারের হাল ধরতে বৌমাকে সাহায্য করতে হবে আপনাকেই।৩. শাশুড়ি হিসেবে বৌমাকে ছেলের বৌ না ভেবে নিজের মেয়ে হিসেবে ভাবুন। আপনিও যে একদিন নিজের বাবার বাড়ি ছেড়ে স্বামীর সংসারের এসেছেন এ কথা ভাবতে হবে।৪. বৌমার সাথে বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বৌমা আপনাকে সম্মান দেবেন, আপনি তাকে দেবেন আদর, স্নেহ-মমতা।৫. বৌমা মানসিকভাবে ভালো না থাকলে আপনার ছেলেও কিন্তু সুখে থাকবে না। নিজের সারাটি জীবন দিয়ে যত্ন করে যে আদরের ছেলেকে বড় করেছেন তার সংসারে অশান্তিই থেকে যাবে।বৌমা যা করবেন১. রাতারাতি হয়তো আপনি আপনার শাশুড়ির প্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন না। সেজন্য আপনাকে জানতে হবে তার পছন্দ-অপছন্দগুলোও। তার পছন্দের কাজগুলো করার সুযোগ না পেলেও অন্তত তার অপছন্দের বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন।২. আপনার প্রতিটি দিন হোক শেখার দিন। কোনো কিছু ভুল করার চেয়ে জিজ্ঞাসা করে শাশুড়ি থেকে শিখে নিন। আপনার শেখার আগ্রহে শাশুড়ি বিরক্ত নয়, বরং খুশিই হবেন।৩. কোনো পারিবারিক বা সামাজিক আয়োজনে যোগ দেয়ার আগে শাশুড়ির কাছ থেকে পরামর্শ নিন। সেটি হতে পারে পোশাক কিংবা উপহার-সম্পর্কিত। এতে শাশুড়ি বুঝবেন যে তার মতের গুরুত্ব রয়েছে আপনার কাছে।৪. সংসারের যে কোনো সমস্যায় অন্য কারও কাছে না গিয়ে শাশুড়ির কাছেই আসুন। সংসার পরিচালনার বহুদিনের যে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা তার থেকে পাবেন, তাতে লাভবানও হবেন।৫. স্বামীর সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সবার আচরণ জেনে নিন। বড় ভাই বড় ভাবী থাকলে তাদের সম্মান করতে ভুল করবেন না।
Advertisement