যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে সমকামী নাইটক্লাবে হামলার সময় ৭০ জনকে বাঁচিয়েছিলেন এক হিরো। নিজের উপস্থিত বুদ্ধির কারণে একসঙ্গে এতগুলো মানুষকে ওই হামলা থেকে বাঁচাতে পেরেছে ইমরান ইউসুফ। ওমর মতিন যখন মিলিটারি স্টাইলে এআর-১৫ রাইফেল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ছিল, তখন এই গুলির শব্দ চিনতে পেরেছিলেন ইমরান। কারণ সে এ বিষয়ে খুব অভিজ্ঞ। ইমরান ওই পালস নাইটক্লাবের একজন বাউন্সার। তিনি এর আগে কখনো ওই বন্দুকধারীকে নাইটক্লাবে দেখেননি। ইউসুফ (২৪) আফগানিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন নৌবাহিনীতে কাজ করেছেন। যখন মতিন ক্লাবে হামলা চালায়, তখন ওই অতর্কিত হামলায় সেখানকার সবাই স্তব্ধ হয়ে যায়। কি করবে কেউ বুঝতে পারছিল না। মতিন তিন-চার রাউন্ড গুলি ছোড়ার পর সবার মধ্যে আতঙ্ক আরো বেড়ে গিয়েছিল। তবে ঠিক সে সময়ই ইউসুফের মনে হয়েছিল যে ক্লাবে একটি নিরাপত্তা দরজা রয়েছে। আর এটা কাউকে খুলতে হবে। সে সময় ইউসুফ অনেকবার চিৎকার করেছেন দরজা খোলার জন্য। কিন্তু আতঙ্কিত মানুষগুলো এক জায়গায় জড়ো হয়েছিল। কেউ দরজার কাছে সাহস করে এগিয়ে যাচ্ছিল না। ঠিক ওই সময় সবার জীবন বাঁচাতে ইউসুফ নিজের জীবন বাজি রাখলেন। তিনি জানান, সে সময় তার মনে হচ্ছিল হয় সবাই এখানে আবদ্ধ অবস্থায় মরবে অথবা কেউ একজন দরজা খুলে সবাইকে বাঁচাবে। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি লাফিয়ে পড়ে দরজা খুললেন। আর সেখানে যারা ছিলেন সবাইকে বাইরে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করলেন। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন খোলা দরজা দিয়ে পালিয়ে নিজেদের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে। আর এসবই হয়েছে ইউসুফের জন্য। তিনি যদি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরজা না খুলতেন, তবে ওই হলের মধ্যেই সবাইকে মরতে হতো। ইউসুফ জানান, ওই হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তার কেবলই এটা মনে হচ্ছিল তিনি যদি আরো মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারতেন তবে তার আরো ভালো লাগত। টিটিএন/আরআইপি
Advertisement