চিত্রনায়ক ফেরদৌস অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার সঙ্গেও জড়িত। গেল বছরে নাটক প্রযোজনা করেছিলেন তিনি রিয়াজ ও নিপুনকে নিয়ে। পাশাপাশি লেখক ফেরদৌসেরও পরিচিতি আছে টুকটাক। সময় হলেই লেখালেখি করতে বেশ আনন্দবোধ করেন এই নায়ক। তারই ধারাবাহিকতায় এবারে লিখলেন ছোট গল্প। সেই গল্পে নির্মিত হলো ঈদের নাটক ‘ম্যানি কুইন’। এতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা ও অভিনেতা সজল। নাটকের গল্পে দেখা যাবে- নগরীর দামি একটি পোশাকের শোরুম। দোকানের চারপাশে সুন্দর সুন্দর পুতুল দিয়ে সাজানো। একটি ছেলে দোকানটিতে সেলস ম্যানের কাজ করে। শহরের কোথাও তার থাকার জায়গা না থাকায় সারাদিনের ব্যস্ততার পর রাতে ছেলেটি দোকানেই ঘুমায়। কয়েকদিন যাওয়ার পর ছেলেটির একটি পুতুলের সাথে বেশ সখ্যতা গড়ে ওঠে। অদ্ভুত বিষয় হলো পুতুলটি তার সাথে কথা বলে, আড্ডা দেয় এবং রাতে শহরের অলিগলিতে ঘুরেও বেড়ায়। পুতুলটির নাম থাকে ‘ম্যানি কুইন’। হঠাৎ করেই পোশাকের শো-রুমটি বন্ধ হয়ে যায়। দোকানের পুরনো মালামাল বিক্রির সময় পুতুলটিও বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু ছেলেটি? ঘটনা মোড় নিতে থাকে অন্যদিকে। বিদেশি একটি গল্পের ছায়া অবলম্বনে লেখা ফেরদৌসের গল্পে নাটকটি পরিচালনা করেছেন আবীর খান। এতে পুতুলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূর্ণিমা। আর সজল দোকানের সেলসম্যানের চরিত্রে। ক্রিয়েশন ইনফিনিটি ও নুজহাত ফিল্মস ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগে নাটকটিতে আরো অভিনয় করেছেন ড. ইনামুল হক, রিফাত চৌধুরী, সানজিদ খান প্রিন্স, নীলা ও অনন্যা প্রমুখ। নাটকটি নিয়ে চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘অনেক সময় অনেক গল্পই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। তাই সময় পেলেই সেগুলো লিখে রাখি। তারই ধারাবাহিকতায় ‘ম্যানি কুইন’ নাটকটি লিখেছি। ক্রিয়েশন ইনফিনিটি ও নুজহাত ফিল্মস ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগে আমরা বেশকিছু টিভি প্রোডাকশন নির্মাণ করবো। তারই প্রথম চেষ্টা এই নাটকটি।’ ক্রিয়েশন ইনফিনিটির কর্ণধার ও অভিনেতা সানজিদ খান প্রিন্স বলেন, ‘বরাবরই আমরা বিশেষ লেখকদের গল্প নিয়ে কাজ করে থাকি। তাই চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ এর মতো গুণী অভিনেতার গল্প নিয়ে কাজ করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। আশা করি ঈদ আনন্দে দর্শকদের জন্য ভিন্ন এক আমেজ হবে ‘ম্যানি কুইন’ নাটকটি।’আজ ১৬ ও আগামীকাল ১৭ জুন নাটকটির শুটিং মিরপুর-২ সহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে চিত্রায়ণ করা হচ্ছে। এটি ঈদ অনুষ্ঠানমালায় বাংলাভিশনে প্রচার হবে।এলএ/আরআইপি
Advertisement