বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে কবরী সারোয়ার। ১৪ বছর বয়সে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে কেড়েছিলেন হাজারো দর্শকের মন। ১৯৬৪ সালের ২২ এপ্রিল মুক্তি পায় সুভাষ দত্তের সিনেমা ‘সুতরাং’। সুতরাং থেকেই পথচলা শুরু কবরীর। তিনি এখন পার করছেন অভিনয় জীবনের ৫০ বছর।কবরীর অভিনয় জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশেষ টিভি অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শিরোনাম ‘অভিনেত্রী কবরীর ৫০ বছর’। এটির উপস্থাপনা করেছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। বিশেষ এ অনুষ্ঠানে উঠে এসেছে কবরীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও অভিনয় জীবনের জানা-অজানা নানা কথা। অভিনয় জীবনের নানাস্মৃতি, নানা অভিজ্ঞতা কবরী সারোয়ার তুলে ধরেছেন অকপটে। চ্যানেল আইয়ের পর্দায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে ৮ আগস্ট।চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন কবরী সারোয়ার৷ জন্মস্থান বোয়ালখালী হলেও তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রাম নগরীতে। কবরীর আসল নাম মিনা পাল৷ বাবা শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল এবং মা লাবণ্য প্রভা পাল৷১৯৬৩ সালে ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব কবরীর৷ ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং` ছবির নায়িকা হিসেবে অভিনয় জীবনের শুরু তার৷ পরবর্তী সময়ে অভিনয় করেছেন হীরামন, ময়নামতি, চোরাবালি, পারুলের সংসার, বিনিময়, আগন্তুকসহ নামকরা নানা চলচ্চিত্রে। এ ছাড়া জহির রায়হানের উর্দু ছবি ‘বাহানা` এবং ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘তিতাস একটি নদীর নাম` ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছেন।
Advertisement