খেলাধুলা

ক্লাব ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ক্রিকেটে সিনিয়র ডিভিশন থেকে শুরু করে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়লো আবাহনী লিমিটেড। বুধবার সুপার লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে ৫০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩৭১ রান করে আবাহনী। বাংলাদেশের কোনো দলের সর্বোচ্চ রান তো বটেই, বাংলাদেশের মাটিতেই এটি লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে ফতুল্লায় ৭ উইকেটে ৩৭০ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের দলগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে গত বছর ঢাকা লিগেই তুলেছিল ৬ উইকেটে ৩৫৭।সাভারের বিকেএসপিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে আবাহনী। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে তারা। অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে এদিন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন লিটন। উদ্বোধনী জুটিতে তামিমের সঙ্গে ৪৯ রান সংগ্রহ করেন।তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে ১৬২ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন লিটন। শুরু থেকেই দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং করে শতক তুলে নেন তিনি। ৬০ বল মোকাবেলা করে পঞ্চাশের কোটা পার করেন তিনি। আর শতক তুলতে বল খেলেন ১০২টি। শেষ পর্যন্ত ১২৫ বলে ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৩৯ রান করেন তিনি।লিটনের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ১০১ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন দীনেশ কার্তিক। দারুণ ব্যাটিং করে কার্তিকও তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৯৭ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিং করে রেকর্ড রানের সংগ্রহ এনে দেন সাকিব। মাত্র ২৪ বলে ৫৭ রানের দানবীয় ইনিংস খেলেন তিনি। এদিন চারের চেয়ে ছক্কা মারায় মনোযোগী ছিলেন তিনি। ২টি চারের বিপরীতে ৫টি ছক্কা মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৭১ রানের পাহাড়সম রানের সংগ্রহ পায় দলটি।এমআর/এবিএস

Advertisement