খেলাধুলা

শ্রীলঙ্কাতেও ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিলেন আশরাফুল

শ্রীলংকার ঘরোয়া টি২০ লিগ এসএলপিএলেও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের (আকসু) কাছে নিজেই এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মিরর।শ্রীলংকান প্রিমিয়ার লিগ বা এসএলপিএলে ম্যাচ পাতানোর ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকে তদন্ত করে আসছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু সাগরে সুঁই খোঁজারমতই কুল হাতড়ে পাচ্ছিল না এসএলসি। পর্যাপ্ত পরিমাণে তথ্য এবং সাক্ষির অভাবে যখন তারা ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থতার মুখোমুখি, তখনই যেন আশির্বাদ হয়ে তাদের সামনে হাজির হলো আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা আকসু।শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) একটি ঘনিষ্ট সূত্র ডেইলি মিররকে নিশ্চিত করেছেন যে, তারা আকসুর কাছ থেকে নির্ভূল তথ্য-প্রমাণ হাতে পেয়ে গেছেন। ওই সূত্রই জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক এবং ফিক্সিংয়ের অপরাধে বর্তমানে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগ করা মোহাম্মদ আশরাফুল নিজেই স্বীকার করেছেন, এসএলপিএলে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা।’বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ হন আশরাফুল। তার বিপক্ষে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠার পর আইসিসির দুর্নীতিদমন সংস্থা আকসু তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গত মে মাসে। ২৩ মে আকসুর কাছে দেওয়া জবানবন্দিতেই আশরাফুল এসএলপিএলে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।এসএলপিএলে আশরাফুল কর্তৃক ফিক্সিংয়ের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট রুহুনা রয়্যালস এবং ওয়াইম্বা ইউনাইটেডের মধ্যে। ওই ম্যিাচটির কিছুদিন আগেই স্বল্প সময়ের জন্য এসএলপিএলের দল রুহুনা রয়্যালসে খেলতে গিয়েছিলেন আশরাফুল।তবে শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র ডেইলি মিররকে জানিয়েছে, ‘আশরাফুল একাই এসএলপিএলে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত নন। তার সঙ্গে অবশ্যই অন্য কেউ জড়িত ছিল। তারা কে কে, সেটাই এখন জানা সবচেয়ে বেশি জরুরি। তারা কি শ্রীলংকার স্থানীয় কোন ক্রিকেটার নাকি অন্য কেউ?’আইসিসির দুর্নীতিদমন সংস্থা আকসুর কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে আশরাফুল জানিয়েছেন, বিপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের সিইও ভারতীয় নাগরিক গৌরভ রাওয়াত এসএলপিএল চলাকালীন ছিলেন মায়ানমারে। ভারতীয় একজন জুয়াড়ির মাধ্যমেই এসএলপিএলে ম্যাচ পাতানোর কাজ করেছেন গৌরভ। তবে আশরাফুল ভারতীয় ওই জুয়াড়ির নাম জানাননি।আশরাফুল জানিয়েছেন, ওই একই জুয়াড়ি ২০০৭ সালে তিনি যখন প্রথম বাংলাদেশের অধিনায়ক নির্বাচিত হন, তখন থেকেই তাকে জাতীয় দলের ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রথম থেকেই নাকি তিনি ওই জুয়াড়ির প্রস্তাব নাকচ করে আসছিলেন।

Advertisement