সম্প্রতি দেশের স্বনামধন্য একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘এফপিএবির সভায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নাজেহাল’ শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে সেই খবরটি কাল্পনিক, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি অধ্যাপিকা খালেদা খানম।বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনস্থ এফপিএবি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি বস্তুনিষ্ট নয়।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এফপিএবি গত ৬১ বছর ধরে বাংলাদেশে সরকারের সহযোগী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাতৃ, শিশু স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাসহ প্রজনন স্বাস্থের জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে সুনামের সাথে কাজ করে আসছে। এই সেবা সমূহ ৩২ জেলায় ৩৫টি ব্রাঞ্চে ক্লিনিক ও ৭৫টি ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক এবং ১৪৭২জন প্রশিক্ষিত মাঠকর্মীর মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগণের মধ্যে প্রদান করে আসছে।তিনি জানান, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে গত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি এর জাতীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নির্বাচিত ২৮জন পুরুষ, ২২জন নারী ও ১৬ জন যুব কাউন্সিলরসহ সর্বমোট ৬৬ জন জাতীয় কাউন্সিলে অংশগ্রহণ করেন।সভায় অধ্যাপিকা খালেদা খানম উপস্থিত বয়োঃজ্যেষ্ঠ মহিলা এবং যুব মহিলা কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সম্মানিত কাউন্সিলরদের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষার্থে সভার কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন। সভায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পত্রিকায় প্রকাশিত পালিয়ে যাওয়া, আহত হওয়া বা মারামারি অথবা সন্ত্রাসী ঘটনার বিষয়টি সত্য নয়।
Advertisement
মূলত সেদিন কাউন্সিলর ছাড়াও কিছু বহিরাগত প্রবেশ করে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।