মতামত

অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য বন্ধ করুন

ঈদকে সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।গণপরিবহনে যাত্রীবেশে, পথচারী কিংবা বিভিন্ন পেশার ছদ্মবেশে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা। প্রায় প্রতিদিনই মহানগরীর গুলিস্তান, তিন বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনালসহ জনাকীর্ণ এলাকায় পথচারী ও যাত্রীদের অজ্ঞান করে সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে। অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে জীবনও যাচ্ছে। তাই সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং জননিরাপত্তার স্বার্থে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। গুপ্তহত্যার বিরুদ্ধে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। এরমধ্যে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেলে সেটি হবে ‘বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো’র মতোই।  এ সংক্রান্ত খবরে বলা হয়েছে- প্রায় প্রতিদিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং মিটফোর্ড হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে ১০ থেকে ১৫ জন করে রোগী আসছে। এর কিছুদিন আগে গত মার্চ মাসে আফতাব উদ্দিন নামে এক মুক্তিযোদ্ধা অজ্ঞানপার্টির কবলে পড়ে নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। গত এক মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে সঙ্গে থাকা সর্বস্ব হারানোসহ অসুস্থ হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ। মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক, সাংবাদিক, পুলিশ, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, ছাত্র, শিক্ষক কেউই এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। বিভিন্ন সময় অনেকে গ্রেফতার হলেও কয়েক দিনের মাথায় তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের একই অপরাধে জড়াচ্ছে। এছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে করেও অজ্ঞান পার্টি তৎপরতা চালাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এসব যানবাহন ছিনতাইয়ের কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে। গণপরিবহনের অপ্রতুলতার সুযোগে যাত্রী উঠানোর নাম করে তুলে নিয়ে গিয়ে কেড়ে নিচ্ছে সর্বস্ব।দিনের পর দিন এ অবস্থা চললেও দেখার যেন কেউ নেই। এভাবে চলতে পারে না। এসব অপতৎপরতা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প নেই। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের নাকের ডগায় অপরাধ সংঘটিত হলেও তারা থাকে নির্বিকার। এ অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সর্ষেয় ভূত থাকলে সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষজন যেন ঘর থেকে বেরিয়ে আবার ঠিকঠাক ঘরে ফিরেতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো মূল্যে। এইচআর/পিআর

Advertisement