আগস্ট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) কার্যক্রম। টানা তিন মাস এ কার্যক্রমের সাধারণ লক্ষ্য দেশের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখা। তবে এবারের এইচপি ইউনিটের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে অন্য খেলোয়াড়দের পার্থক্য কমানো বলে জানিয়েছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের ন্যাশনাল ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিম। সোমবার বিসিবি কার্যালয়ে ফাহিম বলেন, `এবারের নির্বাচন প্রক্রিয়াটা হবে একটু ভিন্ন। মূলত প্রয়োজনের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেব। জাতীয় দল এবং অন্য ক্রিকেটারদের মধ্যে পার্থক্যটা যতটা কম করা যায়, সেটা থাকবে আমাদের সবচেয়ে বড় চেষ্টা। এছাড়া প্রতি বছর বা মৌসুমে ২-৩ জন করে জাতীয় দল ও ‘এ’ দলের জন্য শক্তিশালী ক্রিকেটার তৈরি করা।’দুদিন আগেই বিসিবির এইচপি ইউনিটের মূল কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন অস্ট্রেলিয়ান সাইমন হেলমট। ভিক্টোরিয়া বুশরেঞ্জার্স, মেলবোর্ন রেনিগেডস ও সানরাইজার্স হায়দারাবাদের এ কোচ যুক্ত হয়েছেন তিন মাসের জন্য। তার চুক্তি নিয়ে ফাহিম বলেন, ‘কোচের সাথে চুক্তি হয়েছে এ বছর সে কাজ করবে। এর পর আমরা আরও বাড়াবো। এটা নিভর করবে দু’পক্ষেরই সমঝোতার উপর।’এইচপি ইউনিটের কার্যক্রম কিভাবে হবে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘সামনের মাস থেকে শুরু হয়ে আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। কয়েকটি ধাপে প্রোগামটা চলবে। একটা ধাপে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ হবে। এরপর টেকনিক্যাল শেখানো হবে। চেষ্টা থাকবে দেশের বাইরে গিয়ে আলাদা কন্ডিশনে ওরা কিভাবে পারফরর্ম করতে হয় সেই জিনিসটা শেখানোর। এছাড়াও বাইরের কিছু বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসার চেষ্টা থাকবে।’এর আগেও দেশের বাইরে গিয়ে সেখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা দেবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে এবার তা করবেন বলে আশা করছেন গেম ডেভেলপমেন্টের ম্যানেজার। কিছুদিনের মধ্যেই নিশ্চিত হবেন বলে জানান তিনি। বিদেশীদের পাশাপাশি দেশীয় ৮ জন কোচ থাকবেন বলে জানান তিনি।আরটি/আরআর/পিআর
Advertisement