আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যুবলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতাকে হত্যার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে আসছিল মো. সাইফুল্লাহ খান। এজন্য অস্ত্র ও গোলা বারুদের মজুদও করছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী সাইফুল্লাহ গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাবাদ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বেলা পৌনে ১২ টায় রাজধানীর মিন্টো রোডস্থ ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম।সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে সবুজবাগ থানার ১/১১ পূর্ব বাসাবোর কদমতলীর মোবাইল সার্ভিসিং ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের অফিস থেকে মো. সাইফুল্লাহ খানকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে দুইটি রিভলবার, একটি পিস্তল ও এক হাজার রাউন্ডসহ বিভিন্ন পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সাইফুল্লাহ একজন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন থেকে অস্ত্র আমদানী ও ব্যবসার সাথে জড়িত। হত্যা, গুম নাশকতা দখলবাজির মত কর্মকান্ডে জড়িত তিনি।তিনি আরও বলেন, সাইফুল্লাহ ভারতের হিলি বর্ডারের সীমান্ত দিয়ে ব্রাজিলের ও সেকোস্লেভিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক অস্ত্র আমদানী করেন। এগুলো দিয়ে রাজনৈতিক নেতা হত্যা, নাশকতা ও ধংসাত্মক কর্মকাণ্ড সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মজুদ করছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন সাইফুল্লাহ।এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, পূর্ব বিভাগের উপ-কমিশনার মো.জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর ও ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান।
Advertisement