হাজার ব্যস্ততায় কাটে আমাদের সময়। তবে এই ব্যস্ততার মধ্যে কাজের চাপ ছাড়াও থাকে মানসিক চাপ। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে চুইংগাম শারীরিক স্বাস্থ্যের পক্ষেই যে শুধু ভালো তা নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও প্রচণ্ড কার্যকরী। আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে মেজাজ ফুরফুরে রাখতে চুইংগাম অনেক কার্যকরী। চলুন জেনে নেই চুইংগামের আরো কিছু উপকারিতা-স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে :গবেষণায় পাওয়া যায় যে, যেসব মানুষের চুইংগাম খাওয়ার অভ্যাস থাকে তারা অন্যান্যদের তুলনায় বেশি স্মৃতিশক্তির অধিকারী হয়ে থাকেন। বিশেষ করে যেহেতু চুইংগাম খাওয়ার ফলে নড়তে থাকা মুখমণ্ডলের হাড় ও মাংসপেশী মস্তিষ্কের ৮ টি অংশকে নাড়াতে পারে। এক্ষেত্রে মাত্রাটা হয়তো খুব একটা বেশি নয়।তারপরও মানুষকে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি স্মৃতিশক্তির অধিকারী করে তোলে চুইংগাম।মন ভালো রাখতে :চুইংগামের মন ভালো করে দেওয়ার মতন স্বাদ আর সতেজ গন্ধ তো আপনার মনের ভার দূর করে দিতে যথেষ্টই, তবে এখন সেটার কথা বলছি না। বলছি চুইংগামের আরেকটি অসম্ভব ভালো দিকের কথা। যা নিমিষে আপনার মনকে ভালো করে দিতে সাহায্য করবে। অন্যান্য কার্যাবলীর পাশাপাশি শরীরের রক্তপ্রবাহ আর স্যালিভাকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এটি। ফলে খুব সহজেই মন ভালো হয়ে যায়।উদ্বিগ্নতা দূর করে :এই বিষয়টি পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণিত যে, চুইংগাম আমাদের উদ্বিগ্নতা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, টানা দুই সপ্তাহ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে চুইংগাম সেবন আপনাকে অনেকটাই পাকাপাকিভাবে উদ্বিগ্নতা ও মানসিক চাপ থেকে মুক্ত করে দেবে। আর খুব দ্রুত চিন্তা ঝেড়ে ফেলার দরকার মাথা থেকে? এখনই একটা চুইংগাম মুখে পুরে নিন। দ্রুত উদ্বিগ্নতার মাত্রা কমাতেও জুড়ি নেই এটির।চাপ কমাতে সাহায্য করে :চুইংগামের আর একটি ভালো ব্যাপার হচ্ছে এই যে, আমাদের শরীরে এটি কর্টিসোলের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। যেটি কিনা আমাদের শরীরে চাপ সরবরাহ ও চাপের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা যায় যে, চুইংগাম চিবানোর সময় আমাদের শরীরে অবস্থিত স্যালিভাতে কর্টিসোলের মাত্রা কমে যায়। ফলে মানুষ মানসিক চাপমুক্তও থাকার সুযোগ পায়।এইচএন/এবিএস
Advertisement