জাতীয়

তৃতীয় দিনে ৩৪ জঙ্গিসহ গ্রেফতার ৩ হাজার ২৪৫

দেশব্যাপী পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের তৃতীয় দিনে ৩৪ জঙ্গি সদস্যসহ মোট ৩ হাজার ২৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ সদর দফতর। ওয়ারেন্টভুক্ত ও নিয়মিত মামলার এজাহারভুক্ত আসামিও রয়েছেন গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে। সোমবার দুপুরে পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল আহছান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে হত্যার পর শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী এ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কামরুল আহছান জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জামালপুরের তিনজন, যশোরের দু’জন ও টাঙ্গাইল, শেরপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, নওগাঁ, পাবনা, বগুড়া, নড়াইল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের একজন করে জেএমবি সদস্য রয়েছেন। এছাড়া মেহেরপুর, রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুগাঁও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পিরোজপুর থেকেও একজন করে জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি জঙ্গিদের মধ্যে দু’জন আল্লাহর দলের (ঝিনাইদহ থেকে গ্রেফতার), তিনজন আনসার আল ইসলামের ও তিনজন হিজবুত তাহরির সদস্য রয়েছেন। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, সাতটি ম্যাগাজিন, আটটি চাপাতি, ৩৩ রাউন্ড গুলি, দু’টি পেট্রল বোমা, ৩১টি ককটেল এবং ২৮টি উগ্রপন্থি বইসহ অন্যান্য ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ১টি রিভলবার, ৬টি পিস্তল, ১টি বিদেশি বন্দুক, ৫টি এলজি রয়েছে। এছাড়া, গত ২৪ ঘন্টায় ৫৮৬টি মোটর সাইকেল আটক করা হয়েছে।এর আগে সাঁড়াশি অভিযানের প্রথম দিনে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৩৭ জঙ্গিসহ মোট ৩ হাজার ১৫৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ১ হাজার ৮৬১ জন, নিয়মিত মামলায় ৯১৭ জন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার মামলায় ১৯ জন এবং মাদক উদ্ধার মামলায় ৩৫৮ জন আসামি।  দ্বিতীয় দিনের অভিযানে ৪৮ জঙ্গিকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ সদর দফতর। এছাড়া ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ৪৯৬ জন ও নিয়মিত মামলার এজাহারভুক্ত ৫৮৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।উল্লেখ্য, ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয় পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে। জঙ্গি দমনে সাহসী ভূমিকার কারণে সব মহলে প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। বাবুল আক্তারের জঙ্গিবিরোধী ভূমিকার কারণেই তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা অনেকের। এই হত্যাকাণ্ডের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাবুল আক্তারকে দুর্বল করতেই এ হত্যাকাণ্ড।জেইউ/এনএফ/আরআইপি

Advertisement