জার্মানদের বলা হয় বড় টুর্নামেন্টের দল। ইউরো টুর্নামেন্টে নামার আগেই স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে জার্মানদের। সেই ম্যাচের হারকে ভুলে কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ জিতলেও আসল জার্মানদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে ইউরোর মঞ্চে এসেই জ্বলে উঠলো জার্মানরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ইউক্রেনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এর মাধ্যমে ছয়বারের মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত একবারও জার্মানদের হারাতে পারলো না ইউক্রেন।ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে একে অপরের ডিফেন্সের উপর চড়াও হতে থাকে দুই দলের ফুটবলাররা। ১৪ মিনিটেই ড্রাক্সলারের শট বার ঘেষে বাইরে চলে গেলে প্রথম সুযোগ নষ্ট করে জার্মানি। অবশ্য গোল পেতে বেশি দেরি হয়নি জোয়াকিম লোর দলের। ১৯ মিনিটেই টনি ক্রুসের ফ্রি কিক থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ভ্যালেন্সিয়ার ডিফেন্ডার মুস্তাফি। জার্মানির জার্সি গায়ে নিজে প্রথম গোল করেই উল্লাসে মেতে ওঠেন এই ডিফেন্ডার। অন্যদিকে গোল খেয়েই যেন মরিয়া হয়ে ওঠে ইউক্রেন। একের পর এক আক্রমণ করে জার্মান ডিফেন্স দুর্গকে রীতিমত ভয় পাইয়ে দেয় দলটি। ২৭ মিনিটে খাচেরিদির জোড়ালো শট রুখে দেন নয়্যার। ৩১ মিনিটে আবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় জার্মানি। খেদিরার শট দুর্দান্ত ভঙ্গিমায় রুখে দেন ইউক্রেনিয়ান গোলকিপার পিয়াতভ। ৩৮ মিনিটে ম্যাচের সবথেকে সহজ সুযোগটি নষ্ট করে ইউক্রেন। ইয়ার্মোলেংকোর ক্রসে কনোপ্লায়াংকা শট করলে জার্মান ডিফেন্ডার বোয়াটেংয়ের গায়ে লেগে গোললাইনে আসলেও সেটি ক্লিয়ার করেন এই ডিফেন্ডার। গোললাইন প্রযুক্তি থাকায় পরবর্তীতে দেখা যায় এটি গোল হয়নি। বিরতি থেকে ফিরেও একে অপরকে ছেড়ে কথা বলেনি দুদল। ৪৯ মিনিটে ড্রাক্সলারের আরো একটি শট রুখে দেন ইউক্রেনের গোলকিপার। ৭৬ মিনিটে ইয়ারমোলেংকোর শট ডিফেন্ডার মুস্তাফির পায়ে লেগে কর্নার না হলে হয়ত গোলের উল্লাসে মেতে উঠতো জার্মানি। ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে মারিও গোটজের বদলে বাস্তিয়ান শোয়েন্সটাইগার নামেন। আর নেমেই কাউন্টার অ্যাটাক থেকে প্রথম টাচেই ওজিলের অসাধারণ বাড়ানো বল থেকে গোল করে দলকে ২-০ গোলের জয় নিশ্চিত করেন। ২০১১ সালের পর জার্মানির জার্সি গায়ে প্রথম গোল পেলেন শোয়েন্সটাইগার। এই জয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে আসলো জার্মানি। আরআর/এসকেডি
Advertisement