যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে সমকামীদের একটি নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। রোববার ভোর রাতে ওরল্যান্ডোর এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫৩ জন। ফ্লোরিডা সিটি মেয়র ও পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেছে। এদিকে, সমকামীদের নাইটক্লাবে হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে স্থানীয় পুলিশ। মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, ৩০ বছর বয়সী ওই হামলাকারীর নাম ওমর মতিন। আফগান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক তিনি। হামলাকারীর সঙ্গে জঙ্গিদের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র স্পেশাল এজেন্ট রন হার্পার বলেন, হামলাকারী জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আরো তদন্ত প্রয়োজন। নাইটক্লাবে হামলায় নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন ওরল্যান্ডো মেয়র বুড্ডি ডায়ার। ২০০৭ সালের পর দেশটিতে এটি বড় ধরনের হত্যাযজ্ঞ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ওই বছরর ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে গুলিতে অন্তত ৩২ জনের প্রাণহানি ঘটে।শুক্রবার ওরল্যান্ডোর এক কনসার্টে গুলিতে ২২ বছর বয়সী পপসঙ্গীত শিল্পী ক্রিস্টিনা গ্রিমি নিহত হওয়ার একদিন পর এ হামলার ঘটনা ঘটলো। তবে নাইটক্লাবে গুলিবর্ষণে প্রাণহানির এ ঘটনার সঙ্গে গ্রিমি হত্যাকাণ্ডের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন ওরল্যান্ডো পুলিশের প্রধান জন মিনা।তিনি বলেন, স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টার দিকে পালস নাইটক্লাবে এ বন্দুক হামলা হয়েছে। রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বন্দুকধারীর কাছে রাইফেল, পিস্তল এবং অন্যান্য ডিভাইস ছিল। পরে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে তিনি মারা যান। স্থানীয় সময় রোববার ভোর ৫টার দিকে ওরল্যান্ডোর ‘পালস ক্লাব’ হামলাকারীকে হত্যা করেছে পুলিশ।সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাত ২টায় বন্দুকধারী গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় ক্লাবের এক কর্মকর্তা, যিনি ২০০৪ সাল থেকে ওই ক্লাবে কর্মরত আছেন, তিনি হামলাকারীকে ঠেকানোর চেষ্টা করেন। ক্লাবের বাইরে তার সঙ্গে গোলাগুলি শুরু হয়। এর এক পর্যায় দৌড়ে ক্লাবের ভেতরে ঢুকে পড়েন বন্দুকধারী।পর ‘জিম্মি পরিস্থিতি’ তৈরি হয়। হামলাকারী ওই নাইট ক্লাবে ঢুকে পড়ার তিন ঘণ্টা পর পুলিশ কর্মকর্তারা অভিযান শুরু করেন। এসআইএস/পিআর
Advertisement