খেলাধুলা

আবাহনী-দোলেশ্বরের ম্যাচের ভাগ্য সিসিডিএমের হাতে

প্রথম পর্বে আবাহনী-প্রাইম দোলেশ্বর খেলা নিয়ে কম নাটক হয়নি। তবে সে ম্যাচের নাটক অব্যাহত রয়েছে সুপার লিগের ম্যাচেও। প্রথম দিনই মুখোমুখি হয় আবাহনী-প্রাইম দোলেশ্বর। এদিন একটি আউট আবাহনীর পক্ষে না যাওয়ায় তোপের মুখে পড়েন আম্পায়াররা। ফলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ স্থগিত করতে বাধ্য হন তারা। ম্যাচের ভাগ্য এখন সিসিডিএমের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন সিসিডিএমের প্রধান সমন্বয়কারী আমিন খান।  ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগের এ ম্যাচে অপ্রীতিকর ঘটনা এক প্রতিবেদনে উল্ল্যেখ করেছেন ম্যাচ রেফারি মন্টু দত্ত। সিসিডিএমের সভায় তোলা হবে এ প্রতিবেদনটি। সাধারণত এসব ম্যাচের সিদ্ধান্ত ম্যাচ রেফারির দেওয়ার কথা। তবে সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা থাকলেও সেটি দেননি ম্যাচ রেফারি।সিসিডিএমের সদস্য সচিব রকিব হায়দার পাভেল এ প্রসঙ্গে মূঠোফোনে বলেন, ‘ম্যাচ রেফারি সিসিডিএমের উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। ক্রিকেটের নিয়ম এটি ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা। এখন এখানে কি নিয়ম আছে নতুন করে জানতে হবে।’ তবে স্থগিত করার কারণ জানতে চাইলে প্রাইম দোলেশ্বর কর্তৃপক্ষকে  আম্পায়ার তানভির হায়দার নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানান ম্যাচ রেফারি। এর আগে লিগের প্রথম পর্বে হঠাৎ করে একদিন আগে আবাহনী-প্রাইম দোলেশ্বরের খেলা মিরপুর থেকে বিকেএসপিতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সে ম্যাচে আম্পায়ার একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে জয় পায় আবাহনী। ম্যাচে শেষে সেদিন মুখ গোমরা করে বাড়ি ফিরেছিলেন দোলেশ্বরের খেলোয়াড়রা।রোববার দোলেশ্বরের ইনিংসের ১৫.৪ ওভারে সাকলাইন সজীবের বলে ব্যাট করছিলেন রকিবুল হাসান । এ সময় একটি স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদনে সাড়া না দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আবাহনী শিবির। আম্পায়ারদের সে সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তামিম। ফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও তানভির হায়দারকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করেন তামিমসহ আবাহনীর সমর্থকরা। এরপর আরও এক ওভার খেলা চললেও গালি অব্যাহত রাখলে এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে মাঠের বাইরে আসেন আম্পায়াররা। এবং ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলে মাঠ ছাড়েন তারা। আরটি/আরআর/এমএস

Advertisement