আমাদের দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারি তথা এমপিওভুক্ত, অথচ এই এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আজ সর্বতোভাবে অবহেলিত ও বেতনবৈষম্যের শিকার। উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু আমাদের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন সরকারি অফিসের একজন পিয়নের চেয়েও কম।শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, শিক্ষকদের বেতন প্রতি মাসের ৭ তারিখে পাওয়ার কথা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, কয়েক মাস ধরে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে দেরি হচ্ছে।উল্লেখ্য, ২০১৬ সালেরএপ্রিল মাসের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকার চেক ছাড় হয় ৯ মে এবং তাতে বলা হয়, ১৬ মের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তাদের বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারবেন। কিন্তু অধিকাংশ সোনালী ব্যাংক শাখা কর্তৃপক্ষ সরকারি এ নির্দেশ অমান্য করে সরকারের বেঁধে দেয়া সময়সীমার চার-পাঁচ দিন পর বেতন-ভাতা পরিশোধ করে। অর্থাৎ ২০ তারিখের আগে বেতন উত্তোলন করা সম্ভব হয় না। প্রতি মাসেই এমনটি হয়।এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খুবই কম, আবার সেটাও যদি সময়মতো পাওয়া না যায়, তাহলে তারা কীভাবে দুর্মূল্যের বাজারে জীবনযাপন করবেন?লেখক: সহকারী শিক্ষক, কুষ্টিয়া।এসইউ/আরআইপি
Advertisement