ইনজুরির কারণে প্রথম ম্যাচে চিলির বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেননি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। তবে, ওই ম্যাচে না পারলেও বলে দেয়া হয়েছিল পরের ম্যাচে পানামার বিপক্ষে ঠিকেই মাঠে নামবেন তিনি। শিকাগোর সোলজার ফিল্ড স্টেডিয়ামে মাঠে নামলেন, খেললেন এবং জয় করলেন। এমন ফেরাও হয়! রীতিমত হ্যাটট্রিক করে!পানামার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করলেন মেসি। তার হ্যাটট্রিকে পানামাকে বলতে গেলে উড়িয়েই দিয়েছে আর্জেন্টাইনরা। ৫-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেললো গত আসরের রানারআপরা।ফেরার ম্যাচে আর্জেন্টিনার সেরা একাদশে ছিলেন না মেসি। তাকে মাঠে নামানো হয় খেলার এক ঘণ্টা চলে যাওয়ার পর। ৬১ মিনিটে অগাস্তো ফেরেন্দেজের পরিবর্তে তাকে মাঠে নামান কোচ জেরার্ডো মার্টিনো। ততক্ষণ পর্যন্ত অবশ্য পুঁচকে পানামার বিপক্ষে মাত্র ১-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।মাঠে নামার পরই গোল উৎসবে মাতেন গ্রহের সেরা ফুটবলার। মাঠে নামার ৭ মিনিট পরই তার পা থেকে আসে প্রথম গোল। গঞ্জালো হিগুয়াইনের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের বাম পাশ থেকে বাম পয়ের দুর্দান্ত এক শটে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। দ্বিতীয় গোল করতে আরও ১০ মিনিট সময় নেন বার্সেলোনা তারকা। এবার নিলেন এক ট্রেডমার্ক সেট পিচ কিক। ডি বক্সের সামনে ফ্রি কিক পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বাম পায়ে সেই শটটি নেন মেসি। পোস্টের একেবারে ডান কোন ঘেঁষে বলটি জড়িয়ে যায় পানামার জালে। এর আরও ৯ মিনিট পর, অর্থ্যাৎ খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসেন মেসি। মার্কোস রোহোর পাস থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের আরও একটি শট নেন মেসি। এবারও সোজা গিয়ে পানামার জাল কাঁপিয়ে দেয় সেটি। ফেরার ম্যাচে এমন অসাধারণ একটি হ্যাটট্রিক, মেসির আর্জেন্টিনার পালে জোরালো বাতাস দিয়ে দিল সন্দেহ নেই। শিরোপা জয়ের পথে এবার তর তর করে এগিয়ে যাওয়াই হবে তাদের মূল কাজ।আইএইচএস/এমএস
Advertisement