তাকওয়া অবলম্বনের মাস রমজান। নিয়ম-কানুন মানার মাস রমজান। রমজান আগমনের উদ্দেশ্যই হলো দুনিয়ার সকল অন্যায় ও গর্হিত কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখা। মানুষের কু-রিপু ও আমিত্বকে জালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দেয়া। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য কুরআনুল কারিম নাজিল করেছেন পবিত্র মাস রমজানে। রমজান মানুষকে সকল কাজে তাকওয়ার শিক্ষা দেয়।কুরআনুল কারিম মানুষের জীবন পরিচালনার একমাত্র গাইড। আর তা বাস্তবায়নের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হলো পবিত্র রমজান মাস। এ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যম হলো রোজা।মানুষ রোজার বিধান পালনে ভোর রাতে নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ম মেনে সেহরি খায়। সারাদিন আল্লাহ বিধি-বিধান পালনার্থে পানাহার ত্যাগ করে ইবাদাত-বন্দেগিতে ব্যস্ত থাকে। ওয়াক্তমতো জামাআতে নামাজ আদায় করে। সুর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করে। রাতে নিয়ম মেনেই তারাবিহ নামাজ আদায় করে। কুরআনের বিধান মানতে রমজানের এ নিয়মতান্ত্রিকতাই হলো রোজাদারের সারা বছরের প্রশিক্ষণ।আল্লাহর হুকুম পালনে মানুষ পানাহার ত্যাগ করে। অন্যায়, অপরাধ, অনাচারকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে এ মাসে। দীর্ঘ একমাস রোজার প্রশিক্ষণ শেষে আবার পানাহার চলবে আগের মতোই কিন্তু বছরের বাকি সময়ে অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রোজার শিক্ষা থেকে যায় সবার মাঝে।সকল পাপের জননি হচ্ছে মিথ্যা। মিথ্যা বর্জনে তাকওয়া অবলম্বনের বিকল্প নেই। যার মধ্যে তাকওয়া অর্জন হবে তাঁর দ্বারা মিথ্যা বলা সম্ভব হবে না। আল্লাহ তাআলা এ মাসকে বান্দার জন্য তাকওয়া অর্জনের মাস হিসেবেই নির্ধারণ করেছেন। এ তাকওয়া অর্জনেই অপরাধের মূলউৎপাটন হয়ে থাকে।সুতরাং অপরাধমুক্ত সুশৃঙ্খল ও সুন্দর জীবন-যাপনের জন্য কুরআনের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। জানতে হবে মানব জীবনকে সুন্দর, পরিপাটি ও শান্তিময় করার দিক-নির্দেশনা। মানতে হবে কুরআনের সকল করণীয় বিধি-বিধান। পরিহার করতে হবে ক্ষতিকর গোনাহের সকল কাজ। নিষিদ্ধ কাজ পরিহারে কুরআনের নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে হবে মানব জীবনে। তবেই মানুষ লাভ করবে শান্তিময় নিয়মতান্ত্রিক জীবন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুশৃঙ্খল জীবন গঠনে কুরআনের বিধান বাস্তবায়নে রমজানের নিয়ম-কানুনকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে বছর জুড়ে শান্তিময় নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এবিএস
Advertisement