জাতীয়

সুন্দরবনে আগুনের জন্য দায়ী জেলেরা : বনমন্ত্রী

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার এলাকা নির্বিঘ্ন করতে স্থানীয় জেলে ও দুষ্কৃতকারীরা সুন্দরবনে অবৈধভাবে আগুন লাগিয়েছিলেন। তদন্তে সেটাই পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার টেবিলে উত্থাপিত এস এম মোস্তফা রশিদীর প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।মন্ত্রী বলেন, বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার এলাকা নির্বিঘ্ন করার জন্য স্থানীয় জেলে বা দুষ্কৃতকারীরা অবৈধভাবে আগুন লাগিয়েছিল বলে তদন্তে পাওয়া গেছে। সুন্দরবনে যারা আগুন লাগার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দু’জনকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে। এছাড়া কর্তব্যে অবহেলার জন্য চার বনকর্মীকে সাময়িক কর্মচ্যুত করা হয়েছে।জাতীয় পার্টির এ কে এম মাঈদুল ইসলামের অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। এটি হলে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে এবং সুন্দরবনের উপর স্থানীয় মানুষের নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে।বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অবস্থান প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ সুন্দরবনের কাছের এলাকায় হওয়ায় প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট-(ইআইএ) প্রতিবেদন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজির হবে। প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড অপারেশন ফেস-এ সুন্দরবনের উপর যেন কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সেজন্য আলোচ্য প্রকল্পের ৫৯টি শর্ত আরোপ করে ইআইএ প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।সুতরাং ইআইএ প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত মিটিগেশন মেজার্স যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।এইচএস/এআরএস/এবিএস

Advertisement