জাতীয়

‘শর্ট প্যাকেজ’ থাকছে না এবারের হজে

সবার পরে সৌদি আরব যাওয়া ও সবার আগে ফিরে আসার শর্ট প্যাকেজ থাকছে না এবারের হজে। প্রতি বছর দুই শতাধিক ভিআইপি- মন্ত্রী, সাংসদ, সচিব, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা শর্ট প্যাকেজে হজের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ১৫ দিনের মধ্যে দেশে ফেরার সুযোগ পান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, এবার সেই শর্ট প্যাকেজ থাকবে না। সৌদি সরকারের সঙ্গে হজ চুক্তিতেও এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তাছাড়া সৌদি সরকার তাদের অভ্যন্তরীণ নিয়মের কারণে যে যাত্রী, যে বিমানে, যে আসনে যাবে সেই আসনে ফিরে আসবে এমন নির্দেশনা জারি করেছে। এ কারণে এবার শর্ট প্যাকেজ রাখা নাও হতে পারে। জানা গেছে, মঙ্গলবার বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে ২০১৬ সালের হজযাত্রী পরিবহন কার্যক্রম সুষ্ঠু, ফলপ্রসূ ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সভায় শর্ট প্যাকেজের বিষয়টি আলোচনা করা হয়। সভার প্রস্তাবনায় বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের জন্য হজে সাধারণ প্যাকেজের পাশাপাশি আনুষঙ্গিক ট্যাক্স ও চার্জ বাদ দিয়ে বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণের জন্য হজযাত্রীপ্রতি ২ হাজার ৫০০ ডলার বিমান ভাড়ায় ২০ থেকে ২২ দিনের সংক্ষিপ্ত হজ প্যাকেজ চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ অনুমোদন নিয়ে বিমান কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়। এ বিষয়ে ধর্ম ও বিমান মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চাওয়া হয়। তবে বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা জানান, শর্ট প্যাকেজ থাকা না থাকার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জানা গেছে, সাধারণ প্যাকেজে হজের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে এক মাস সময় লেগে যায়। সংক্ষিপ্ত প্যাকেজে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগে। শর্ট প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত যাত্রীদের ব্যবস্থা করতে গিয়ে অনেক সময় হজের প্রথম দিকে যারা সৌদি আরব যান তাদের শিডিউল সমন্বয়ে সমস্যা হয়। বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ভিআইপিদের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কিছু ব্যক্তি থাকেন, যারা হজের জন্য সৌদি আরবে এক মাস অবস্থান করলে রাষ্ট্র পরিচালনায় বিরূপ প্রভাব পড়ে। সেই সকল নীতিনির্ধারকদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থায় শর্ট প্যাকেজের বিশেষ ব্যবস্থা শেষ পর্যন্ত হয়তো রাখা হতে পারে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।এমইউ/এসকেডি/এসএইচএস/এমএস

Advertisement