জাতীয়

ই-টোকেন ছাড়াও ভারতের ভিসা আবেদনে যা যা লাগবে

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীর বারিধারার জাতিসংঘ রোডের ভারতীয় হাইকমিশনে ভিসা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় ৪-১৬ জুন পর্যন্ত ভারত ভ্রমণে সাক্ষাতের তারিখ বা ই-টোকেন ছাড়া সরাসরি হাইকমিশনে গিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের সুযোগ রয়েছে।তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে না আনার কারণে হাইকমিশনে গিয়েও আবেদন না করে অনেককেই ফিরে যেতে হচ্ছে। ই-টোকেন ছাড়াও ভারতীয় ভিসা জমা দিতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।১. মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট :ভারতীয় ভিসার আবেদনের জন্য আবেদনকারীর মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে। পাশাপাশি পাসপোর্টে ভিসা ২টি পাতা খালি থাকতে হবে।২. পাসপোর্টের ফটোকপি :মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের প্রথম ৪ পাতা, ডলার এন্ডোর্সমেন্ট এবং মেয়াদ বৃদ্ধির পাতার ফটোকপি।৩. পুরোনো পাসপোর্ট :যদি কোন আবেদনকারীর হাতে লেখা পুরোনো পাসপোর্ট থাকে সেটিও সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।৪. ভিসা ফর্ম পূরণ : ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদনের জন্য হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদনের সময় ফরমটি প্রিন্ট করে আনতে হবে। ফর্মে স্ক্যান করা পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে। ফর্মে দেয়া তথ্য (যেমন: জন্ম তারিখ, স্থায়ী ঠিকানা) এনআইডি বা পাসপোর্টের তথ্যের মধ্যে সামঞ্জস্যতা থাকতে হবে। ফরমের লিংক : http://www.ivacbd.com/online_visa.php৫. ছবি : সাম্প্রতিক তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। ছবি আবেদনকারীর মুখ স্পষ্টভাবে দেখা যেতে হবে।৬. জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) :আবেদনকারীকে জাতীয় পরিচয় পত্রের (এনআইডি) ১ কপি ফটোকপি জমা দিতে হবে।৭. বিলের কপি : আবেদনকারীর বাসার ঠিকানার যাচাই করতে তার বর্তমান ঠিকানার বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস অথবা পানির বিলের কাগজের ফটোকপি জমা দিতে হবে।৮. পেশার প্রমাণ পত্র : ভিসা আবেদনের জন্য পেশার প্রমাণপত্র অতি গুরুত্বপূর্ণ। আবেদনকারী যদি চাকরিজীবী হয়, এর প্রমাণস্বরূপ ওই চাকরীদাতা প্রতিষ্ঠানের প্যাডে তার একটি সনদ দিতে হবে।ছাত্র : আবেদনকারী যদি ছাত্র হয়, তবে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের কপি  জমা দিতে হবে।৯. ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও সলভেন্সি :আবেদনকারীকে তার ব্যাংক অকাউন্টের ৬ মাসের স্টেটমেন্ট অথবা পাসপোর্টে ১৫০ ডলার এন্ডোর্সমেন্ট অথবা আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে।উল্লেখ্য, ১৬ জুন শেষ হবে এই ঈদ ভিসা মেলা। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশি ভ্রমণপিপাসুরা। তবে রোজার কারণে সময় দুই ঘণ্টা কমিয়ে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত করা হয়েছে।এআর/এআরএস/আরআইপি

Advertisement