বিশেষ প্রতিবেদন

বড় বাপের পোলায় খায়

প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র রমজান উপলক্ষে জমে উঠেছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারের বাজার।পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খানদানি ইফতারি শুধু রাজধানীতেই নয়, এর সুনাম সারাদেশেই রয়েছে।  রমজান মাসে মুখরোচক, নানা স্বাদের ইফতারির স্বাদ নিতে, দূর-দূরান্ত থেকে ভোজনবিলাসীরা ছুটে আসেন রাজধানীর চকবাজারে। এ ইফতারের কদর শুধু ঐতিহ্যগত কারণেই নয়, গুণগতমান ও স্বাদও একটি বড় কারণ। চকবাজারে বেশিরভাগ দোকানেই ইফতার কিনতে হয় লাইনে দাঁড়িয়ে। আর বাজার জুড়ে ঘুরে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে “বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙ্গা ভইরা লইয়া যায়” একটি বিশেষ ইফতারের নাম।রমজান মাসে চকবাজারে ইফতার কিনতে গেলে যে কথাটি সবচেয়ে বেশি শোনা যায় তা হচ্ছে, ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়।’ জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী এই পদটি প্রায় ৭৫ বছরের পুরনো। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এটি তৈরিতে ডিম, মগজ, আলু, ঘি, কাঁচা ও শুকনো মরিচ, মাংস, সুতি কাবাব, মাংসের কিমা, ডাবলি, বুটের ডালসহ নানা পদের খাবার আইটেম ও হরেক ধরনের মসলা প্রয়োজন। আর এসবের যে মিশ্রণ তৈরি হয়, তার নামই ‘বড় বাপের পোলায় খায়’ বলে জানান বিক্রেতারা। তবে এছাড়াও আরো বেশ কিছু আইটেম আছে যা ব্যবসায়িক কারণে তারা উল্লেখ করতে চান না।একটি বড় গামলায় বিভিন্ন ধরনের আইটেমগুলো দুই হাতে ভালোভাবে মাখিয়ে তারপর ঠোঙায় করে বিক্রি করা হয়। বর্তমানে মূল্য প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত।প্রবীনরা জানায়, “বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙ্গা ভইরা লইয়া যায়।” একটি বিশেষ ইফতারের নাম। ১৯৪৫ সালে শাহী জামে মসজিদ চত্বরে বাণিজ্যকভাবে এ খাবার বিক্রি শুরু করেন একজন বিক্রেতা। বংশ পরম্পরায় তার ছেলে এখন বিক্রি করছেন। শুরুতে এর নাম ছিল ‘তার তারাবার ঘি কা বারে মাশালা’। তখন কাঁঠালপাতায় বিক্রি হত। দাম ছিল পাঁচ আনা। এখন প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এএস/জেএইচ/এবিএস

Advertisement