মানুষ অসুস্থ হলেই রোজা ভাঙ্গবে তা কিন্তু নয়, বরং রোজা থেকেও চিকিৎসা গ্রহণ করা যায়। যে সকল চিকিৎসায় রোজার ক্ষতি হবে না তা তুলে ধরা হলো-ইনহেলাররোজা অবস্থায় ইনহেলার (শ্বাসকষ্টের স্প্রে) যা ফুসফুসে যায়, তা ব্যবহারে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।ইনজেকশনকোনো রোগীর মাংসপেশী, রগ বা লোমকুপে ইনজেকশন দিলে তাতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে যেসব ইনজেকশন খাদ্যের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয় তাতে রোজা ভেঙ্গে যাবে।ইনসুলিনঅনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইনহেলার ব্যবহার করা আবশ্যক। রোজা অবস্থায় ইনসুলিন ব্যবহারে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।ডুশ বা সাপোজিটরঅসুস্থতার জন্য ডুশ বা সাপোজিটর ব্যবহার করলে রোজার কোনো অসুবিধা হবে না।রক্ত পরীক্ষারোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের হলে রোজা ভাঙ্গবে না। এবং রক্ত পরীক্ষা করতে ইনজেকশন দিয়ে রক্ত বের করলেও রোজার ক্ষতি হবে না। তবে কোনো রোগীকে বা ব্ল্যাড ব্যাংকে রক্ত দান করলে একদল আলেমের মতে রোজা ভেঙ্গে যাবে।(মাজমুঈ ফাতওয়া) অন্যদলের মতে ভাঙ্গবে না। তাই রোজা অবস্থায় রক্ত দানে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।রক্ত পড়াঅনেকের অসুস্থতার কারণে নাক দিয়ে রক্ত ঝরে। রোজা অবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত বের হলে রোজা কোনো ক্ষতি হবে না।কান ও চোখে ড্রপরোজা অবস্থায় কান ও চোখের ড্রপ ব্যবহার করলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ পেটে কোনো জিনিস প্রবেশের জন্য কান ও চোখ বিকল্প কোনো পথ নয়।দাঁতের চিকিৎসারোজা অবস্থায় দাঁত উঠানো, দাঁত লাগানো কিংবা ফিলিং করা ও ক্যাপ লাগালে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে পানি বা রক্ত ভেতরে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকার কারণে রোজা অবস্থায় দাঁতের চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত নয়।উপরোক্ত অসুস্থতায় চিকিৎসা গ্রহণ করলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে চিকিৎসা গ্রহণে রোজার প্রতি যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement