চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতু হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতের দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানার শুলকবহর বড় গ্যারেজ নামক এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। নম্বরপ্লেটে মোটরসাইকেলটির নম্বর লেখা রয়েছে- চট্টো মেট্রো-ল-১২-৯৮০৭। পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন মোটরসাইকেল উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় মিতু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। মোটরসাইকেলটি ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মোটরসাইকেলের নম্বরের সূত্র ধরে এর মালিককে সনাক্তের চেষ্টা করবে পুলিশ। এরআগে রোববার রাতে মিতু হত্যার ঘটনায় তিন ঘাতকের বর্ণনা দিয়ে ও একাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ বলেন, পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ ও র্যাবের সব সংস্থা এক সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আমরা ঘটনাস্থলের একাধিক সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এসব ফুটেজ দেখে খুনিদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বাংলাদেশ পুলিশের ২৪তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা বাবুল আক্তার ২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০১৫ সালে পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে ব্যাপক প্রশংসিত হন তৎকালীন এডিসি বাবুল আক্তার। এ ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এখনো এই খুনের দায় কেউ স্বীকার করেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রোববার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাবুলকে দুর্বল করতে তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর মেরাদিয়া কবরস্থানে দাফন করা হয় মিতুকে। এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। রোববার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ত্রিরতন বড়ূয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।পুলিশ সুপারের স্ত্রী খুন হওয়ার পর পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়ে তাদের মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। এতে পুলিশের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাকে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে। জীবন মুছা/এনএফ/পিআর
Advertisement