অর্থ পাচারের মামলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান, তার স্ত্রী ও ছেলের নামে হংকংয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কেন পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ১৫ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। দুদকের করা এক রিভিশন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ২০০৮ সালে মোরশেদ খান, তার স্ত্রী ও ছেলেসহ তিনজনের নামে একটি মামলা হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ ছিল। এই মামলায় গত বছর দুদক চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার পরে তা গ্রহণ করেন আদালত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে হংকংয়ের ব্যাংক থেকে দুদককে জানানো হয় যে, মোরশেদ খানসহ তিনজনের অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। এই খবর জানার পর ঢাকার বিশেষ আদালতে দুদকের পক্ষ থেকে ফাইনাল রিপোর্টের ওপর নারাজি আবেদন করা হয়। কিন্তু ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত সেই নারাজি আবেদন খারিজ করে দেয়। নিম্ন আদালতের সেই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে রোববার দুদক হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দিল। ওই অ্যাকাউন্টে ৬ মিলিয়ন হংকং ডলার অর্থ রয়েছে বলে জানান দুদকের আইনজীবী। তিনি আরো জানান, আদালত আমার কাছে জানতে চেয়েছিল যে বাংলাদেশের আদালত বিদেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দিতে পারে কি না? আমি বলেছি মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী পারে। পরে আদালত এই অ্যাকাউন্ট ১০ দিন জব্দ রাখার নির্দেশ দেন। এটি বাংলাদেশের কোনো আদালতের প্রথম বিদেশি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট জব্দ রাখার নির্দেশ। এফএইচ/জেএইচ/আরআইপি
Advertisement