জাতীয়

হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামে এসপি বাবুল

দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন এসপি বাবুল আক্তার। র‌্যাবের একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামে পৌঁছেন তিনি।হেলিকপ্টারে প্রথমে দামপাড়া পুলিশ লাইনে পৌঁছার পর সেখান থেকে গাড়িতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান তিনি। চমেকে পৌঁছার পরপরই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অসম সাহসী এই মানুষটি। মানসিকভাবে ভেঙে পরায় চিকিৎসকদের পরামর্শে স্ত্রীর মরদেহ না দেখিয়ে হাসপাতালের আরএমও কক্ষে বসতে দেওয়া হয় তাকে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে তিনি (এসপি বাবুল) খুবই বিধ্বস্ত। এ অবস্থায় স্ত্রীর মরদেহ দেখলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন -এমন আশঙ্কাতেই চিকিৎসকরা সময় নিচ্ছেন।এর আগে রোববার সকাল ৭টার দিকে ছেলে-মেয়েকে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।জিইসি মোড়ের ইকুইটি সেঞ্চুরিয়াম ভবনের সিকিউরিটি সাত্তার জানান, সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি বাচ্চা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। এর কয়েক মিনিট পর রাস্তায় মানুষের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি রক্তাক্ত দেহটি পড়ে আছে, আর বাচ্চাগুলো কান্না করছে। তখন বাচ্চা দুটোকে বাসায় নিয়ে আসি এবং সাহেবকে (বাবুল আক্তার) ফোন করি।বাবুল আক্তারের প্রতিবেশি ও বায়েজিদ থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।ঘটনাস্থলে থাকা পিবিআই চট্টগ্রাম প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশির আহমেদ খান জানান, সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে বাসা থেকে মাত্র একশ গজ দূরে তিনজন মোটরসাইকেল আরোহী তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর ছুরিকাঘাত ও পরপর তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতের পাশাপাশি মাহমুদা আক্তারের মাথার বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ঘটনাস্থলেই মারা যান মাহমুদা আক্তার মিতু।জীবন মুছা/আরএস/এমএস

Advertisement