ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে সুপার সিক্স নিশ্চিত করেছে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। আব্দুল মজিদের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ১১২ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় তারা। ১০ ম্যাচে ছয় জয় ও একটি টাইয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ছয়ের টিকিট কাটলো দলটি। আর এ হারে সুপার সিক্সে খেলার স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে গেল ব্রাদার্সের। শনিবার ভিক্টোরিয়ার দেওয়া ৩০৩ রানের বিশাল লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই বড় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে ব্রাদার্স। দলীয় ৪৬ রানেই প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বড় হারের শঙ্কায় পরে দলটি। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রুমান আহমেদকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক তুষার ইমরান। তবে দলীয় ৯১ রানে রুমান ফিরে গেলে আবারো বড় ব্যবধানে হারার শঙ্কায় পরে দলটি। তবে দলীয় ৯১ রানে রুমানের বিদায়ের পর আসিফ হোসেনকে দারুণ একটি গড়েন অধিনায়ক। ৯৭ রানের দারুণ এক জুটি গড়লেও দলের জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান তুষার। শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে দলীয় ১৯০ রানে আউট হন তিনি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২৬ বলে ১১টি চারের সাহায্যে ৯৩ রান করেন তুষার। ভিক্টোরিয়ার পক্ষে ৩৩ রানে ৩টি উইকেট পান মাহবুবুল আলম রবিন। এছাড়া আল-আমিন ও কামরুল ইসলাম রাব্বি পান ২টি করে উইকেট। এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার ফজলে মাহমুদ ও আব্দুল মজিদের সুবাদে দুর্দান্ত সূচনা পায় তারা। উদ্বোধনী জুটিতে দলের পক্ষে ১৭০ রান সংগ্রহ এনে দেন এ দুই ব্যাটসম্যান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলেও নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩০২ রানের দারুণ সংগ্রহ পায় তারা।দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১৮ রান করেন মজিদ। ১১৭ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৯৮ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৭১ রান করেন মাহমুদ। এছাড়া আল-আমিন ৩৩ রান করেন। ব্রাদার্সের পক্ষে ৫০ রানে ৪টি উইকেট পান নাবিল সামাদ। এছাড়া ইফতেখার সাজ্জাদ ও আসিফ হাসান ২টি করে উইকেট নেন।আরটি/আরআর/এমএস
Advertisement