খেলাধুলা

শেখ জামালকে হারিয়ে সুপার সিক্সে রূপগঞ্জ

দ্বিতীয় দল হিসাবে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে সুপার সিক্স নিশ্চিত করেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর নাহিদুল ইসলামের দায়িত্বশীল ব্যাটিং এ জয় পায় তারা। আর এ হারে সুপার সিক্সের সমীকরণ কঠিন করে ফেললো শেখ জামাল। শেখ জামালের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোন রান না করতেই জহুরুল ইসলামকে হারিয়ে চাপে পরে রূপগঞ্জ। তবে আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারকে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়ে দলের চাপ সামলে নেন নাহিদুল ইসলাম। তবে সৌম্যর বিদায়ের পর জুনায়েদ সিদ্দিকিকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন নাহিদ।তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১২৫ রানের দারুণ সংগ্রহ এনে দেন এ দুই ব্যাটসম্যান। ফলে ১০৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন নাহিদ। ৯৯ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া ৭৩ বলে ৩টি চারে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন জুনায়েদ সিদ্দিকি। এর আগে সাভারের বিকেএসপিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে শেখ জামাল। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ৭ রানে মাহবুবুল করিম ও মার্শাল আইয়ুবকে হারিয়ে দারুণ বিপর্যয়ে পরে তারা। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আবদুল্লাহ আল মামুন। ৫০ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তবে দলীয় ৫৭ রানে মামুনের বিদায়ের পর নাজমুস সাদাতকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ। এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সোহাগ গাজীকে নিয়ে দলের পক্ষে ৫৫ রান যোগ করেন সাদাত। তবে দলীয় ১৫৬ রানে সাদাতের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ফলে ৩০ বল বাকি থাকতেই ১৮৪ রানেই সবকটি উইকেট হারায় তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন সাদাত। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৩৫ ও সোহাগ গাজী ৩১ রান করেন। রূপগঞ্জের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ও মুরাদ খান ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া আলাউদ্দিন বাবু ও নাহিদুল ইসলাম পান ২টি করে উইকেট।আরটি/আরআর/আরআইপি

Advertisement