নেক আমল, ইবাদাত-বন্দেগি, তাওবা-ইস্তিগফার মানুষের নাজাতের অন্যতম মাধ্যম। আর তা যদি হয় মহিমান্বিত মাস রমজানে, তাহলে তো কথাই নেই। আল্লাহ তাআলা রমজান মাসকে বান্দার জন্য জাহান্নামের মুক্তির মাস হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন। এ প্রসঙ্গে হাদিসে অনেক সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের প্রত্যেক দিবস ও রাত্রিতে অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। এবং প্রত্যেক মুমিন বান্দার একটি করে দোয়া কবুল করেন। (মুসনাদে আহমদ, বাযযার)অন্য হাদিসে এসেছে-হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রমজান মাসে প্রতি ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। আর প্রতি রাতেই তা হয়ে থাকে। (মুসনাদে আহমদ, ইবনে মাজাহ, তাবরানি, বাইহাকি)পরিশেষে...যেহেতু আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে রমজানের রাত ও দিনে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন সেহেতু আমাদের কর্তব্য হলো বেশি বেশি নেক আমল এবং তাওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিজেদেরকে বিশ্বনবির এ শাহী ফরমানে সাথে অন্তর্ভুক্ত করা। আল্লাহ তাআলা সবাইকে জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement