আসছে পবিত্র ঈদ। আর এই ঈদের ছুটিতে ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে শহর ছেড়ে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি বা অন্য কোথাও ভ্রমনে যাওয়া আনন্দের ব্যাপার। তবে সেই সাথে থাকতে হবে বাড়তি সতর্কতায়। অল্পদিনের এ ভ্রমণে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়া, ঘুম আর বিশ্রামের স্বাভাবিক রুটিনে কিছুটা পরিবর্তন হয়। শরীরের ওপর কিছুটা হলেও এর প্রভাব পড়ে। যাত্রাপথ, গাড়ি, গ্রামের বাড়ি ইত্যাদি নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে সবারই কিছু সমস্যা হতে পারে। সুতরাং কোথাও যাত্রা করা থেকে শুরু করে সেখানে থাকা এবং সেখান থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত থাকতে হবে সতর্ক।‘মোশান সিকনেস’ সারাতে হবেবাস, ট্রেন, নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার যে কোনো বাহনে চড়ার পর অনেকেরই বমি হতে পারে। এ সমস্যার নাম ‘মোশান সিকনেস’। মোশান সিকনেস পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে কিছু টিপস মেনে চললে উপকার পাওয়া যাবে। যেমন গাড়ির ভেতরে তাকিয়ে না থেকে গাড়ির বাইরে তাকিয়ে থাকলে বমি বমি ভাব কম হবে। চলন্ত গাড়িতে বই-পত্রিকা পড়তে থাকলেও অনেক সময় বমির উদ্রেক হয়। এমন হলে গাড়িতে বই-পত্রিকা না পড়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকলে বমি বমি ভাব কমে যেতে পারে। জানালার পাশে সিট নিয়ে জানালা একটু খুলে রাখলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে। হালকা নাশতা করলে মন্দ নয়। কিছু ওষুধ আছে যেগুলো বমি হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শে তা সেবন করতে হবে গাড়িতে ওঠার আগে। আদা কিংবা চুইংগাম চিবানোতেও উপকার পাওয়া যাবে।প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অন্যান্য সামগ্রী সঙ্গে রাখুনচিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন মতো ওষুধ চলতে থাকলে সেসব ওষুধ নিতে হবে। এ ছাড়া আরও কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে নিয়ে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দেয়া ভালো। কারণ গ্রামে প্রয়োজনের সময় প্রয়োজনীয় ওষুধ নাও পাওয়া যেতে পারে। খাবার স্যালাইন, অ্যান্টাসিড, রেনিটিডিন, প্যারাসিটামল, বমির ওষুধ, অ্যান্টিহিস্টামিন, স্যাভলন, অ্যান্টিবায়োটিক মলম, ব্যান্ডেজ ইত্যাদি সঙ্গে নিতে হবে। হাত ধোয়ার সাবান কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজারও নিতে হবে। মশার কয়েলও নিতে পারেন। পথে পান করার জন্য পর্যাপ্ত পানি নিন।পথে পানাহারে সাবধানরাস্তার পাশের দোকানের খাবার বা অপরিচিত লোকের কাছ থেকে কোনো খাবার না খাওয়াই ভালো। বাসা থেকে পানি নিয়ে বের হওয়া উচিত। বাইরের পানি নিরাপদ নাও হতে পারে। এরূপ খাবার বা পানীয় থেকে ডায়রিয়া বা আমাশয় হয়ে উৎসবের আনন্দই মাটি হয়ে যেতে পারে।গ্রামের বাড়িতে বাড়তি সতর্কতাখাওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ঘন ঘন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে পেট খারাপ হতে পারে। পুকুর বা জলাশয়ের পানিতে বাচ্চারা যেন একা একা না নামে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রোদ থেকে রক্ষা পেতে ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করতে হবে। রাতে ঘুমানোর সময় মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে মশারি বা মশার কয়েল ব্যবহার করতে হবে।
Advertisement