খেলাধুলা

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের

চারমাস পর প্রথম মাঠে গড়ালো ওয়ানডে ক্রিকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজে ত্রি-দেশীয় সিরিজ দিয়ে। গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর দক্ষিণ আফ্রিকা। লো স্কোরিং এই ম্যাচে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে কিয়েরণ পোলার্ডের দৃঢ়তায় ৬ উইকেট হারিয়ে ১১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা। জয়ের জন্য ১৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১১ রান করে ফিরে যান ফ্লেচার। যদিও জুটিটা ছিল ৩৭ রানের। এরপর দ্রুত ফিরে যান জনসন চার্লস (৩১ রান) আর মারলন স্যামুয়েলসও। তবে ড্যারেন ব্র্যাভো আর ডিনেশ রামদিনের ছোট্ট একটি জুটির পর পোলার্ড-ব্র্যাভো জুটিই ক্যারিবীয়দের জয়ের রাস্তা দেখিয়ে দেয়। ৬৯ বলে ৩০ রান করে আউট হন ড্যারেন ব্র্যাভো। ৬৭ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন পোলার্ড। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ১০ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার। প্রোটিয়াদের হয়ে অ্যারোন পাঙ্গিসো ৪০ রানে ৩টি, ইমরান তাহির ৪১ রানে ২টি এবং জেপি ডুমিনি ১২ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সুনিল নারিনের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে পড়ে ৪৬.৫ ওভারেই ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও কুইন্টন ডি কক আর হাশিম আমলা মিলে ৫২ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন; কিন্তু নারিনের মায়াবি ঘূর্ণিতে পড়ে ২০ রানে আউট হয়ে যান আমলা। এরপরই শুরু হয় প্রোটিয়াদের আসা-যাওয়ার মিছিল। ৩০ রান করে আউট হন কুইন্টন ডি কক। সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন রিলে রুশো। ৮৩ বলে মাত্র ২টি বাউন্ডারির মার মারেন তিনি। ৩১ রান করে এবি ডি ভিলিয়ার্স। ২৩ রান করে জেপি ডুমিনি। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা সুনিল নারিনের সামনে শুধু আসলো-দাঁড়ালো আর আউট হয়ে ফিরে গেলো।৯.৫ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন সুনিল নারিন। ২ উইকেট নেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। ১টি করে উইকেট নেন জেরোম টেলর এবং জ্যাসন হোল্ডার। আইএইচএস/এবিএস

Advertisement