কৃষকদের বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজেটে এমনটিই আভাস পাওয়া গেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে চাল আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান হলেও চাল আমদানি করতে হয় সরকারকে। তবে এজন্য দায়টা বেশি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের। চাল আমদানিতে আগ্রহীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করায় বাজারে সংকট দেখা দেয়। তাই কৃষি ও কৃষক বাঁচাতে এবারের বাজেটে চাল আমদানিতে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ শতাংশ।বাজেট বক্তৃতায় তিনি দেশীয় উৎপাদনের স্বার্থে রেপসিড কেক, সয়াকেক এর শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেন।দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনের উপকরণ ‘স্ট্যাবিলাইজার ফর মিল্ক’এর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন।দেশের পুষ্টির প্রধান উৎস হাঁস-মুরগি আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্ক কর রেয়াত আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত থাকার প্রস্তাব করেছেন মুহিত।শুধু তাই নয়, কৃষি খাতের উন্নয়নে সার ও সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণে এবারও দেয়া হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি ও প্রণোদনা।দেশীয় কৃষি পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ দিতে কৃষি পণ্য আমদানির উপর ১ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ২৭ হাজার ৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় কৃষি খাতে নতুন অর্থবছরে ২২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন। বাজেটে চাল আমদানিতে শুল্ক আরও ১০ শতাংশ বাড়ানোয় আমদানি যেমন কমবে তেমনি দোষী কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য পাবেন বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর শ্রীলঙ্কায় ৫০ হাজার টন চাল রফতানি করেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে গত অর্থবছর ভারত থেকে আমদানি করেছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার টন চাল।এ বছর লিবিয়াসহ আফ্রিকার সাতটি দেশে চাল রফতানির আলাপ-আলোচনা চলছে। অন্যদিকে ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক থাকার পরও এ অর্থবছর ভারত থেকে ইতিমধ্যে ২ লাখ ১৭ হাজার ১৩০ টন চাল আমদানি হয়েছে।এ ছাড়া এ বছরের ১৯ মার্চ পর্যন্ত নতুন করে আরও ৩ লাখ ২৯ হাজার টন চাল আমদানির এলসি খোলা হয়েছে।জেইউ/এএইচ/পিআর
Advertisement