বিশেষ প্রতিবেদন

আলো ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নতুন নকশা

প্রকাশ পেয়েছে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নতুন ভবনের নকশা। আধুনিক কারুকার্যে ঠাসা নতুন ভবনের নকশা ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। নকশায় মোজাইক বা টালিতে ভবনের বহির্ভাগের সৌন্দোর্য ফুটে উঠলেও বেশিরভাগ অংশ ঢাকা থাকছে দামি গ্লাসে। প্রতিটি কক্ষই হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। থাকছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার নজরদারিও।  এদিকে, নিজ দলের বিশ্বমানের এমন নকশা দেখে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনেকেই ফেসবুক, টুইটারে এ নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। নিজ পেইজে সাটিয়ে দিচ্ছেন নতুন নকশার ছবি।   সূত্র জানায়, দশতলা ভবনের বিশাল কার্যালয়ে একটি কনফারেন্স রুম থাকছে। থাকছে সেমিনার কক্ষ, ভিআইপি লাউঞ্জ, সাংবাদিক লাউঞ্জও। দলীয় প্রধান এবং সাধারণ সম্পাদকের জন্য আলাদা কক্ষ হবে বেশ বড় পরিসরে। থাকছে বেলকনিও।বহুতল এ ভবনটির প্রস্তাবিত নকশায় পাঁচ তারকা মানের আবাসিক কক্ষ রাখারও প্রস্তাব করেছিলেন দলের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। দলের সভানেত্রী সব দিক বিবেচনা করে সে প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তবে পাঁচ তারকা মানের না হলেও আবাসিক কক্ষগুলো অত্যাধুনিক হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পাশাপাশি দলের সকল সহযোগী সংগঠনের প্রধান কার্যালয় থাকবে এই নতুন ভবনে। বঙ্গবন্ধু ২৩ অ্যাভিনিউয়ের এই ভবনটি ভাড়া নিয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল আওয়ামী লীগ। তবে পুরানো এবং জীর্ণ হওয়ায় দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে রীতিমত বেগ পোহাতে হচ্ছিল দলটিকে। এছাড়া বড় কোনো হল বা কনফারেন্স রুমও ছিল না কার্যালয়ে। সম্প্রতি দলের জন্য ভবনের জায়গাটি কিনে নেয়া হয়।সূত্র জানায়, ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলা হচ্ছে এ মাসেই। সেখানেই নির্মাণ করা হবে দলের অত্যাধুনিক এ ভবন।   এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, চলতি মাসেই পুরাতন ভবনটি ভেঙে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। দুই বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।তিনি আরো বলেন, গত ৬ এপ্রিল দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নতুন ভবনের নকশা অনুমোদন দিয়েছেন। রাজউক কর্তৃক অনুমোদিত নতুন ভবনের নকশা ও পাইলিংসহ সমুদয় কাজ সম্পন্নের পর আগামী সেপ্টেম্বরে মূল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।নতুন ভবনের ব্যাপারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের প্রচার উপ কমিটির সদস্য আমেনা কোহিনূর বলেন, আওয়ামী লীগ উপ- মহাদেশের মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দল। এই দলের কার্যালয়েরও বিশেষ ঐতিহ্য রয়েছে। দলের পরিধি বাড়ছে। বাড়ছে কাজের পরিধিও। সঙ্গত কারণে কার্যালয়ের পরিসর বাড়ানোও জরুরি। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী দলগুলোর পার্টি অফিসের মতো আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসও অত্যাধুনিক হবে।  এটি ভাবতেই ভালো লাগছে।এএসএস/এএইচ/পিআর

Advertisement