জাতীয়

ভেজাল হারবাল ব্যবসায় বিদেশিদের টার্গেট বাংলাদেশ

অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ভেজাল ও অবৈধ ব্যবসায় বিদেশিদের প্রধান টার্গেট এখন বাংলাদেশ। বিশেষ করে হারবাল পণ্য বিক্রির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত একটি বিদেশি অপরাধী চক্র। এক্ষেত্রে সহযোগিতায় রয়েছে দেশি চক্রও।বায়োলিভিয়া হারবাল সিডস প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার রাতে ৪ নাইজেরিয়ানসহ ৬ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে এমন তথ্য জানিয়েছেন আটককৃতরা।বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টায় র‌্যাব-২ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মহিউদ্দিন।জনৈক মেহেদী হাসান গত ৫ জুন র‌্যাবকে জানায়, কয়েকজন বিদেশি ব্যক্তির সঙ্গে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। বিদেশিরা তাকে হারবাল ঔষধ হিসেবে এক ধরনের গাছের বীজের ব্যবসার প্রস্তাব দেয়।বিদেশিদের কাছে থাকা পাঁচটি বীজ দেখিয়ে তাকে বলে এই বীজ বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানীতে বিক্রয় করলে প্রচুর লাভ হবে। তাদের কথায় ও বিভিন্ন ই-মেইলসহ মোবাইলে আলাপচারিতায় কিছুটা বিশ্বাস স্থাপন হওয়ায় অভিযোগকারী বিদেশিদেরকে ৩ লাখ টাকার বীজের অর্ডার দেয়।গত ১৫ জুন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ইসলামী ব্যাংকের শাখা থেকে ভিকটিম ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা অগ্রিম হিসেবে নাইজেরিয়ান এক প্রতারকের নিকট পরিশোধ করে।মোহাম্মদপুর থানাধীন ইয়ামি বাড়ী নং ২/৩, ব্লক-এ, লালমাটিয়া মিরপুর রোডে মূল গেটের সামনে বাকি টাকাসহ আসতে বললে সে তথায় উপস্থিত হয়ে প্রতারক সায়েমা সায়েদুর ওরফে বৃষ্টি ওরফে সোনিয়া (২৪) এর নিকট হতে ১০টি প্যাকেটে মোট ৪৯টি বীজ নেয় ও বাকি ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা পরিশোধ করে।পরবর্তীতে অভিযোগকারী উক্ত বীজগুলি নিয়ে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক কোম্পানিতে যোগাযোগ করলে তারা জানায় বীজগুলি সম্পূর্ণ ভুয়া। এরপর থেকে বারবার যোগাযোগ করেও আর কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। সবার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।অভিযোগকারী প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পেরে বিক্রয় ডটকম নামক ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখে দেয় যাতে আর কোন লোক প্রতারিত না হয়।আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা অনলাইনে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রেতা সংগ্রহ করে প্রলোভন দেখিয়ে এসব ভুয়া পণ্য বিক্রয় করে পরে তারা সকলেই তাদের ব্যবহৃত সিম পরির্বতন করে নতুন সিম ব্যবহার শুরু করে।র‌্যাব-২ সিও বলেন, অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ভেজাল ও অবৈধ ব্যবসায় বিদেশিদের প্রধান টার্গেট এখন বাংলাদেশ। বিশেষ করে হারবাল পণ্য বিক্রির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত একটি বিদেশি অপপরাধী চক্র। এক্ষেত্রে সহযোগিতায় রয়েছে দেশি চক্রও। আটককৃতরদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।জেইউ/জেএইচ/আরআইপি

Advertisement