খেলাধুলা

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন মুস্তাফিজের বাবা

কে জানতো, স্কুল পালানো ছেলেটি একদিন জাতীয় বীরের খেতাব নিয়ে বাড়ি ফিরবে! যাকে নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যাবে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে। হাতের মুঠোয় থাকবে অবিশ্বাস্য সব বিশ্ব রেকর্ড। গোটা বিশ্ব যাকে এক নামে চিনবে। হাইস্কুলের গণ্ডি না পেরোলেও পেছনে ফেলবে কত-শত ডিগ্রিধারীদের!স্কুল পালানোর জন্য বাবা যাকে বলতেন, তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। কে জানতো-সেই ছেলেই একদিন বিশ্ববরেণ্য বনে যাবে। যা কল্পকাহিনীকেও হার মানায়। যা এখন কল্পনা বা স্বপ্ন নয়, বাস্তব।সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের সাদামাটা এক ছেলে মুস্তাফিজ এখন জাতীয় বীর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে জাতীয় বীর উপাধিতে ভূষিত করেছেন।এ বিষয়ে জাগো নিউজের কাছে অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেন মুস্তাফিজের বাবা আলহাজ আবুল কাশেম গাজী। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমার মতো একজন সাধারণ মানুষের ছেলেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বীর ঘোষণা করেছেন। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই সকল মন্ত্রীকে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, ক্রিকেট বোর্ডের যে সকল কর্মকর্তার সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে মুস্তাফিজ আজ এ পর্যন্ত পৌঁছেছে।’তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে আইপিএল খেলে বাড়ি ফিরেছে। হায়দারাবাদ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ওই খেলায় সে উদীয়মান প্লেয়ার হয়েছে। এজন্য আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। সে যেন ভবিষ্যতে আরো ভালো খেলা উপহার দিয়ে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করতে পারে।অন্যদিকে, পর্দার আড়ালে থাকা আজকের এই জাতীয় বীর মুস্তাফিজের কারিগর, তার সেঝো ভাই মোকলেসুর রহমান পল্টুর সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের এই প্রতিনিধির।সহজ সরল ও সাদা মনের এই মানুষটি বলেন, মুস্তাফিজ বাড়িতে আসার পর বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে ভিড় করছে। যারা আসেন তাদেরকেও আমাকে সামলাতে হয়। এতে আমার কষ্ট হয় না বরং আনন্দ পাই। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আগমনে বাড়িটি আরো কোলাহলপূর্ণ হয়ে ওঠে।আকরামুল ইসলাম/আইএইচএস/বিএ

Advertisement