বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করার পরও সিম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ধানমন্ডি সিটি কলেজের পাশে এয়ারটেলের একটি কাস্টমার কেয়ারে ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। বুধবার দুপুরের এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে দক্ষিণ ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় এয়ারটেলের গ্রাহকরা নেটওয়ার্ক বিভ্রাটের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার পর থেকে রাজধানীর ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, পল্টন এবং নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জের একাংশে এয়ারটেলের নেটওয়ার্কে সমস্যার কথা জানানো হয়।সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ তাদের ভোগান্তি ও ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া গ্রাহকের প্রশ্ন, বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের পরেও সিম বন্ধ হয়ে গেল কেন? সকাল সাড়ে ১০টায় এয়ারটেলের ফেসবুক পেইজ থেকে একটি পোস্টে জানানো হয়, ‘যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, পল্টন, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর এলাকায় এয়ারটেল গ্রাহকরা সাময়িক নেটওয়ার্ক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এই সমস্যার সঙ্গে বায়োমেট্রিক রি-রেজিস্ট্রেশনের কোনো সম্পর্ক নেই।’ উল্লেখ্য, ৩১ মে ছিল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের শেষ সময়। বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, ২ কোটি ৭০ লাখ সিম এখনো এই পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়নি। অনিবন্ধিত এসব সিম মঙ্গলবার রাত থেকেই বন্ধ হতে শুরু করেছে। তবে এসব সিম বন্ধ হলেও ৪৫০ দিনের মধ্যে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করে পুনরায় চালু করা যাবে বলে জানিয়েছে অপারেটরগুলো।তারা জানায়, ৪৫০ দিন পর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংযোগ বিক্রির ঘোষণা দিতে পারবে অপারেটররা। এরপর ভেরিফিকেশন করে সংযোগ পেতে ৯০ দিন সময় পাবেন গ্রাহক। তবে সিম পুনর্নিবন্ধন না হলে নির্ধারিত সময়ের পর অন্য গ্রাহকের কাছে সিমগুলো বিক্রি করা যাবে।অবিন্ধিত সিমগুলো বর্তমান মালিকরা রেজিস্ট্রেশন করবেন কিনা তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। ফলে এখনো অনিবন্ধিত ২ কোটি ৭০ লাখ সিমের কী হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে অপারেটরগুলো।আরএম/এনএফ/পিআর
Advertisement