মানিকগঞ্জে তানভীর নামে আড়াই বছরের এক শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আপন চাচির বিরুদ্ধে। হত্যার পর ভাসিয়ে দেয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর মরদেহ কোলে নিয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন চাচি চায়না বেগম (২৮)। পৌর এলাকার জয়নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জয়নগর এলাকার বাসিন্দা সেখ আক্কাছ আলী ও তার স্ত্রী কমলা বেগমের মধ্যে সোমবার সকালে ঝগড়া- বিবাদ হয়। তারা দুইজনে রাগ করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলে, থাকে শুধু আড়াই বছরের শিশু তানভীর। এই সুযোগটিই কাজে লাগান চাচি চায়না বেগম। সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আমিনুর রহমান জাগো নিউজকে জনান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে চায়না বেগম তানভীরকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশে কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে যায়। সেখানে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয় তানভীরকে। পরে মরদেহ ভাসিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে নৌকার মাঝিরা তা টের পায়। এরপর মরদেহ কোলে করে বাড়ি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের তিনি জানান পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। আটক করা হয় চাচি চায়না বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন চায়না বেগম। থানায় চায়না বেগম সদর থানার ওসি আমিনুর রহমানকে জানান, তানভীরের মায়ের সঙ্গে প্রায়ই তার ঝগড়া হতো। তাকে খারাপ ভাষায় খুব বকাবকি করা হতো। এই ক্ষোভ থেকেই তানভীরকে হত্যা করেছেন তিনি। এ ঘটনায় শিশু তানভীরের মা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। দুপুরে চায়না বেগমকে আদালতে নেয়া হয়েছিল।স্বজনরা জানান, কমলা বেগমের তিন সন্তান ছিলে। বড় ছেলে রাব্বি (১৫) গত বছর সড়ক দুর্ঘনায় মারা যান। দুই বছর আগে রহস্যজনকভাবে পানিতে ডুবে মারা যান ছয় বছর বয়সী মেয়ে লাবনী। সর্বশেষ নিহত হলেন জীবিত একমাত্র সন্তান তানভীর। বি.এম খোরশেদ/এআরএ/এবিএস
Advertisement