আইন-আদালত

মিউচুয়াল ফান্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত আপিলেও বহাল

মেয়াদোত্তীর্ণ ক্লোজড অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ড বন্ধ করতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়েও তা বহাল রয়েছে। বিএসইসির সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।বিএসইসি’র করা আপিল মঞ্জুর করে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ ক্লোজড অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট হোল্ডারদের টাকা উত্তোলনে আর কোনো আইনগত বাধা নেই। জানা গেছে ২০১০ সালের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক নির্বাহী আদেশে বলা হয়, ক্লোজড-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ হবে ১০ বছর| যেসব ফান্ডের মেয়াদ ১০ বছর পেরিয়ে গেছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই আদেশের পরও বিএসইসি একাধিকবার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মেয়াদ বাড়ায়।এরপর ২০১৪ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা- ২০০১ এর ৫০ (খ) ধারা অনুযায়ী এইমস ও গ্রামীণ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট হোল্ডারদের সভায় ফান্ড দুটির মেয়াদ সবোর্চ্চ অনুরূপ একটি মেয়াদের (১০ বছর) জন্য বর্ধিত করার পক্ষে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।কিন্তু ইউনিট হোল্ডারদের সিদ্ধান্ত নাকচ করে বিএসইসি আগের নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ২৯ জুন অনুষ্ঠিত সভায় ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফান্ড দুটির রূপান্তর/অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেয়।ওই নির্বাহী আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এইমস ওয়ান ও গ্রামীণ ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের অন্যতম ইউনিট হোল্ডার আলী জামান হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিএসইসি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তা এইমস ওয়ান ও গ্রামীণ ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বিএসইসি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। মঙ্গলবার শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল ঘোষণা করেন।আদালতে বিএসইসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বিজিআইসির পক্ষে ছিলেন এ এফ হাসান আরিফ, ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন।আদালতে রিট আবেদনকারী আলী জামানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এইমস ওয়ানের ও গ্রামীণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল ও মো. জহিরুল ইসলাম।এফএইচ/এমএমজেড/এমএস

Advertisement